নিয়ম করে খাওয়া দাওয়া করছেন, শারীরিক পরিশ্রমও করছেন, কিন্তু কিছুতেই কমছে না ওজন। অথবা আচমকা বাড়তে শুরু করেছে দেহের ভার। সেরাম কাজ না করলেও ক্লান্তি লাগে সারদিন! এই সবই কিন্তু হতে পারে পিসিওএস–এর লক্ষণ। একেই বলে পলিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম। এই রোগ হলে মেয়েদের ডিম্বাশয়ের গায়ে ছোট ছোট সিস্ট হয়। সমস্যা দেখা যায় প্রজননে। ভারী হয়ে যায় ডিম্বাশয়। আসলে ডিম্বাশয় থেকে বেশি মাত্রায় এন্ড্রোজেন ক্ষ্ররণ হলে এই সমস্যা হয়। এই সমস্যা দেখা দিলে, আগে প্রয়োজন জীবনযাত্রার পরিবর্তনের। অবশ্যই পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের। তবে কী করে বুঝবেন আপনার পিসিওএস হয়েছে? কোন লক্ষণ দেখলে সাবধান হবেন আগেই?
তলপেটে মেদ বৃদ্ধি পাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়ার পিছনে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বড় কারণ হতে পারে। পিসিওএস হলে কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রার তারতম্য নষ্ট হতে পারে। হয়তো দেখছেন সে ভাবে পরিশ্রম করেননি কিন্তু ক্লান্তি চেপে বসছে। সতর্ক হন। পিসিওএস হলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, ফলে ক্লান্ত লাগে।
পিসিওএস–এর ফলে অনেক সময় চুল, পড়ার সমস্যা দেখা যায়। শরীরে ডিএইচটি নামে একটি হরমোন বেড়ে গেলে এই চুল পড়া বেড়ে যায়। পিসিওএস হলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব সব থেকে সাধারণ লক্ষণ। শরীরে হঠাৎ টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায় বলে এই সমস্যা হয়।
অনেক সময় পিসিওএস–এর ফলে মহিলাদের শরীরে ‘মেল হরমোনের’ ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে শরীরে রোমের আধিক্য বাড়তে পারে।