সর্বশেষ
কাঠগড়ায় ফুঁপিয়ে কাঁদলেন তুরিন আফরোজ, সান্ত্বনা দিলেন ইনু
কুয়েটে শিক্ষা উপদেষ্টা, অনশনে অনড় শিক্ষার্থীরা
ইংল্যান্ড সফরেও ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাই
আসামি গ্রেফতারে লাগবে না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি: হাইকোর্ট
পেহেলগাম পর্যটকদের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল পাকিস্তান
জমে উঠছে ‌‘টাকার ডাক্তার’ ক্লিনিক
পোপ ফ্রান্সিসের নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে আর্জেন্টিনায়
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়তে ওসিকে ছাত্রদল নেতার সুপারিশ
কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে তিন যুবক নিহত
টিকটকে পরিচয়ে প্রেম, মেয়ে স্ত্রী’র দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে 
কেন নারীদেরই বেশি রক্তশূন্যতা হয় কেন
একই সঙ্গে ফ্যাশন আর আবেদনে দশে দশ এই অভিনেত্রী, বলছে তাঁর সাম্প্রতিক যত লুক
বয়স বাড়লেও দৃষ্টি ঈগলের মতো রাখবে যে ৫ খাবার
রাজধানীতে বাড়তে পারে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনা কম
মৌলিক বিষয়ে এখনও মতভিন্নতা কাটেনি

শিশুর ফোন আসক্তি সহজেই দূর হবে যে ৪ উপায়ে

অনলাইন ডেস্ক

আগে আমরা টিভি দেখতে দেখতে খেতাম। কিন্তু এখনকার দিনের বাচ্চারা তো আরেক কাঠি উপরে। অন্য সময় না হলেও খাওয়ার সময়ে আমার সন্তানকে অবশ্যই স্মার্টফোনটি দেয়া লাগেই। টিকটকের রিলস না দেখে, সে খেতেই চায় না, ৪ বছর বয়সী শিশু সন্তানের রিলস আসক্তি নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন এক মা।

আবার অনেক শিশুকে দেখি খেলাধুলায় কোনো আগ্রহ নেই। দুরন্তপনা ফেলে স্মার্টফোন অথবা ট্যাবে মুখ গুজে রেখেছে সারাদিন। বাবা-মায়েরাও ভাবেন দুষ্টুমি করে অঘটন ঘটানোর চেয়ে এ-ই ভালো। অনেকে ভাবতে পারেন, শিশু যেহেতু ডিভাইস চালানোয় পারদর্শী তাহলে নিশ্চয়ই সে তার সমবয়সীদের থেকে এগিয়ে থাকবে। এ ছাড়াও অভিভাবকদের মাঝে এমন ভাবনাও কাজ করে যে ‘শিশু নিজ গৃহেই নিরাপদ’। তাই সন্তানের স্ক্রিনটাইম মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও তারা বারণ করের না। এখানেই ভুলটা করে বসেন বাবা- মা।

গবেষণায় দেখা গেছে, অত্যধিক স্ক্রিন টাইমের ফলে শিশুদের ঘুম কমে যাচ্ছে। তারা সহজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারছে না এবং অল্পতেই রেগে যাচ্ছে। দেখা যায়, শিশুরা আগে যেসব কাজে মজা পেতো সেসব কাজে তাদের অনীহা তৈরি হয়েছে। সব ফেলে তারা চার কোণা স্ক্রিনেই সব থেকে বেশি আনন্দ পাচ্ছে। আর স্ক্রিন টাইম বেড়ে যাওয়ার ফলে তা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

অপরদিকে নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক কসরতের রয়েছে অনেক উপযোগিতাও। এটি তাদের শক্তি, নমনীয়তা, হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি সামগ্রিক মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও সাহায্য করে।

তাই শিশুদের ডিজিটাল ডিভাইসগুলো থেকে দূরে রাখা আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব মনে হলেও অভিভাবকদের উচিত শিশুদের টেকনোলজির বাইরের জগতটা সম্পর্কে জানানো। তারা যাতে দৌড়-ঝাপ, হাঁটা- চলার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করা। শিশুদের মাঝে তাই মোবাইল আসক্তি কমিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। মোবাইল বা ডিজিটাল ডিভাইসগুলোর বিকল্প হিসেবে আনন্দদায়ক কোনো খেলা বা কাজের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।

যে উপায় শিশুর মোবাইল আসক্তি কমাতে সাহায্য করবে

আপনি নিজেই কি মোবাইল আসক্ত?

শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। বড়দের কোনো আচরণ বারবার ঘটতে দেখলে তা তারা রপ্ত করার চেষ্টা করে। আপনার সন্তান যদি দেখে আপনি নিজেই সারাক্ষণ মোবাইলে কথা বলছেন কিংবা কাজ করছেন তখন তারাও আপনার নিষেধকে আমলে নেবে না। তাই এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হলো আপনার নিজের স্ক্রিন টাইমের ওপর নজর দেয়া। আপনি যদি দেখতে পান যে স্ক্রিনে যতটা সময় কাটানো উচিত তার চেয়ে বেশি কাটাচ্ছেন, তাহলে আপনার সন্তানদের দেখতে দিন আপনি নিজে কীভাবে এটি মোকাবিলা করেছেন। আপনার নিজের জীবনে ভারসাম্য খুঁজে পেতে আপনি যে পরিবর্তনগুলো করছেন তা তাদের ব্যাখ্যা করুন।

 সবসময় পজিটিভ থাকুন

আমরা অনেকসময় শিশুদের ডিভাইস নিয়ে প্রলোভন দেখাই। কোনো ভালো কাজের উপহারস্বরূপ তাদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় মোবাইল ব্যবহার করতে দেই। আবার, বিপরীতটাও ঘটে। শাস্তিস্বরূপ তাদের কাছ থেকে ডিভাইস কেড়ে নেয়া হয়। অভিভাবকের এমন আচরণ শিশুদের মনকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। তারা ভাবা শুরু করে যে, অন্য যে কোনো খেলার চেয়ে ডিজিটাল ডিভাইস বেশি আনন্দের তাই বড়রা খুশি হলে মোবাইল ব্যবহার করতে দিচ্ছে। কিন্তু আপনার উচিত এ বিষয়টিকে একদম সাধারণ একটিভিটির কাতারে নিয়ে আসা। শিশুদের মোবাইলের পরিমিত ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করুন।

একটি শিডিউল তৈরি করে ফেলুন

শিশুরা যদি হঠাৎ কোনো নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয় তখন তারা অবাধ্য আচরণ করে। তাই নিষেধ নয়, বরং তারা যাতে স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনে সে ব্যাপারে নজর দিন। তাদের সাথে বসে একটি রুটিন তৈরি করতে পারেন। তাদের জিজ্ঞাসা করুন তারা মোবাইল বা অন্য ডিভাইস দিয়ে কী করতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। জেনে নিন তাদের নিজস্ব মতামত। দিনের কোন সময়ে তাদের মোবাইল ব্যবহারের আগ্রহ বেশি থাকে সেটাও আপনার বিবেচনা করা উচিত। কতক্ষণ তারা ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবে তা আপনি নির্ধারণ করুন কিন্তু কখন ব্যবহার করবে তা শিশুদের ওপরই ছেড়ে দিন। কিন্তু খাবার গ্রহণের সময় তাদের মোবাইল ব্যবহার করতে দেবেন না।

তারা যা ভালোবাসে তা করতে উৎসাহিত করুন

মোবাইল তো রাখা হয়ে গেল! এবার আপনার শিশুকে নিজের পছন্দের কাজটি খুঁজে পেতে সাহায্য করতে হবে। কোনো নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং তাদের স্বাধীনতা দিন। শারীরিক কার্যকলাপ অনেক বেশি উপভোগ্য হয় যখন আপনি যা পছন্দ করেন তা করেন। তাই শিশুদের নিজের পছন্দের এক্টিভিটি খুঁজে পেতে দিন। বাচ্চাকে তাদের পছন্দের বহিরঙ্গন ক্রিয়াকলাপে নিয়োজিত করতে উৎসাহিত করুন, তা সে হোক সাইকেল চালানো, স্কেটবোর্ডিং, সাঁতার বা অন্যদের সঙ্গে সাতচাড়া খেলা। ফলে ব্যায়ামও হবে, তাদের একঘেয়েমিও কাটবে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ