বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার অন্তত পাঁচ শতাংশ মানুষ মানসিক অবসাদে আক্রান্ত। তবুও সাধারণ মানুষের মধ্যে মানসিক অবসাদ নিয়ে সচেতনতার বড় অভাব। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, যারা রাতে দীর্ঘক্ষণ জেগে থাকুন তাদের মধ্যে মানসিক অবসাদ দেখা দেওয়ার প্রবণতা বেশি। ঘুমের মোট সময় এক হলেও যাঁরা দেরি করে ঘুমাতে গিয়ে দেরি করে উঠছেন তাঁদের তুলনায় যাঁরা তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গিয়ে তাড়াতাড়ি উঠছেন তাঁদের মাসনিক অবসাদের ঝুঁকি কম।
‘মানসিক অবসাদ একটি গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যা, যা বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষকে প্রভাবিত করে।’ মত যুক্তরাজ্যের সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ সাইকোলজির স্নায়ুবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং গবেষক ড. সাইমন ইভান্সের। এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন তিনিই। গবেষণা পত্রে ইভান্স লিখেছেন, ‘অবসাদ ও বিষণ্ণতা দৈনন্দিন কাজকর্মের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং এমনকি পেশা ও শিক্ষাকেও প্রভাবিত করতে পারে। এটি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকসহ অন্যান্য গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই অবসাদ কমানোর উপায়গুলি অধ্যয়ন করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
মোট ৫৪৬ জনের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় অংশ নেওয়া সব ব্যক্তির বয়সী ছিল ১৭ থেকে ২৮ এর মধ্যে। গবেষকরা তাঁদের ঘুমের ধরন, মনোযোগ, একাগ্রতা, মাদকাসক্তি, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অবসাদের বিভিন্ন দিক নিয়ে পরীক্ষা করেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ মধ্যরাতের পর ঘুমাতে যান। গবেষণার ফলাফল বলছে, এই ৫০ শতাংশ মানুষের মধ্যে একাগ্রতার অভাব, অ্যালকোহলে আসক্তি এবং ঘুমের মান খারাপ হওয়ার মত লক্ষণগুলি দেখা দিয়েছে। দেখা গিয়েছে মানসিক অবসাদও। তবে ঠিক কেন এমনটা হচ্ছে তা নিয়ে অবশ্য নিশ্চিত নন গবেষকরা। এই বিষয়ে জানার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন তাঁরা।