ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) পেহেলগামে পর্যটকদের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে পাকিস্তান। পর্যটকদের জনপ্রিয় গন্তব্য পাহাড়ি ও মনোরম এই এলাকায় এক মর্মান্তিক হামলায় কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আরওয়াই নিউজ।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইআইওজেকের নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন আইআইওজেকের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্টের ভারতের সফরের সময়।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এটি ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ বা সাজানো হামলা হতে পারে। অতীতেও মোদি সরকার এমন হামলা ঘটিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব হামলা প্রায়ই দেশটির অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা আড়াল করতে এবং পাকিস্তানবিরোধী মনোভাব উস্কে দিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এই হামলার পরপরই ভারতের গণমাধ্যম ও রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) এর সঙ্গে যুক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলো পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়াতে শুরু করে।
এমনকি হামলাকে ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালানো হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—অমুসলিম পর্যটকদের টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে।
আগের মতোই ভারতের মূলধারার সংবাদমাধ্যম ভিত্তিহীন প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, যা আবারও সরকারিভাবে প্রচারিত বিবৃতির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ভারত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় এবং জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ—এই দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে। এর ফলে অঞ্চলটি সম্পূর্ণরূপে দখলে চলে যায়। একই সঙ্গে বহিরাগতদের বসবাসের অধিকার দেওয়ার পথ সুগম হয়, যা কাশ্মীরে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্ম দেয়।
সূত্র: যুগান্তর