প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে পাঠকের দোরগোড়ায় বই পৌঁছে দিচ্ছে গাজীপুরের বসুন্ধরা শুভসংঘ পাঠাগার। শিশু-কিশোরসহ সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে বসুন্ধরা শুভসংঘ পাঠাগার রাখছে অনন্য ভূমিকা।
গাজীপুরের বসুন্ধরা শুভসংঘ পাঠাগারে সবসময় বইপ্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে। পড়ন্ত বিকেলে পাঠাগারে বই নিয়ে মগ্ন থাকতে দেখা যায় কিছু বই প্রেমী মানুষকে। বুক সেল্ফে সাজানো শত শত বই। যার যে বই পছন্দ তারা তা নিয়ে পড়ছেন নিজের মতো, পড়া শেষে আবার বইগুলো জায়গামতো রেখে চলে যাচ্ছেন। পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই দৃশ্য চোখে পড়ে সবার।
গাজীপুরের বসুন্ধরা শুভসংঘের পাঠাগারটির পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী, যদিও নদীটি মৃতপ্রায়, তবুও বয়ে যাচ্ছে শীতল হাওয়া। প্রতিদিন এই প্রাকৃতিক পরিবেশে বই পড়ার দৃশ্য চমকে দেবার মতোই।
শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক- শিক্ষার্থী ছাড়াও গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো (বই) পৌঁছে দিচ্ছে বসুন্ধরা শুভসংঘ পাঠাগার।
এছাড়াও পাঠাগার থেকে পছন্দের বই বাড়িতে নিয়েও পড়তে পারেন পাঠকরা। পাঠাগার থেকে পছন্দের বই পড়া শেষে ফেরত দিয়ে নতুন বই নিয়ে যান ইচ্ছে মতো; যা সম্পূর্ণ বিনা খরচে। এখানে কোন রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়ে বই নিতে হয় না। সকল শ্রেণির মানুষের জন্য উন্মুক্ত এ পাঠাগার।
বসুন্ধরা শুভসংঘের পাঠাগারের বই পড়তে এসে পাঠক আবিদ হাসান বলেন, আমাদের এলাকায় বসুন্ধরা শুভসংঘের এই পাঠাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমি এখানে এসে নিয়মিত বই পড়ি।
যখন যে বই পড়তে মন চায় এখান থেকে সে বই ইচ্ছে মতো পড়তে পারছি। এজন্য বসুন্ধরা শুভসংঘকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই.
পাঠাগারে বই পড়তে আসা বইপ্রেমী সুমাইয়া আক্তার বলেন, আগে আমরা বাসায় বসে মোবাইল ব্যবহার করে সময় নষ্ট করতাম, এখন আমাদের এলাকায় বসুন্ধরা শুভসংঘের পাঠাগার তৈরি হওয়ায় এখানে এসে অবসর সময়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারতেছি, এজন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।
বইয়ের প্রতি সকলের আগ্রহ বাড়াতে বসুন্ধরা শুভসংঘের এই বিশেষ উদ্যোগকে স্বাগত জানান স্থানীয়রা।
সূত্র: নিউজ টোয়েন্টিফোর