আজকাল হজমের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কথায় বলে, বাঙালি যেমন ভোজনরসিক, তেমনই পেটরোগাও! মজার ছলে যাই বলুন না কেন, গুরুপাক খাবার খেলে অল্প-বিস্তর হজমের সমস্যায় পড়েন কম-বেশি সকলেই। কিন্তু বাড়ির খাবার খেলেও যে এই সমস্যায় পড়েন অনেকে। সমাধান খুঁজতে ভরসা রাখেন মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিডের উপর। তবে দীর্ঘদিন ওষুধ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। বরং ভরসা রাখুন ঘরোয়া টোটকার উপর। তাহলেই নিমেষে বাড়বে হজম ক্ষমতা।
খানিকটা জোয়ান, হিং ও পিঙ্ক সল্ট ভালভাবে মিশিয়ে নিন। এক চামচ এই মিশ্রণ নিয়ে গরম জলের সঙ্গে খান। সকালে ও রাতে খাওয়ার পর এই পানীয় খেলেই পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা চিরতরে দূর হবে। নিয়মিত খেলে কয়েক দিনের মধ্যে হাতেনাতে উপকার পাবেন।
জোয়ানের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। আর রয়েছে প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় আরাম দেয়। গ্যাস-অম্বল তো বটেই, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথার সমস্যা দূর করতেও ফাইবার এবং ল্যাক্সেটিভস সমৃদ্ধ জোয়ান সহায়ক হতে পারে। বদহজমের সমস্যা দূর করে হিং। রাতের খাবারের পর এই পানীয় খেতে ভুলবেন না। এর অ্যান্টিইনফ্লেম্যাটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ পেটের সমস্যা কমায়। দূর করে গ্যাস, বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যও।
গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর করতে পরিমিত পরিমাণে জল খান। সহজপাচ্য হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। নিয়মিত শরীরচর্চা বিশেষ করে যোগাসন, প্রাণায়ম করলে স্বস্তি পাবেন। অন্তঃসত্ত্বা এবং শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে হিং জল খাওয়া উচিত নয়। খাওয়ার পর মৌরি কিংবা জোয়ান চিবিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।