রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম নির্ধারণ নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন এবং রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
এর আগে, গত ৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম ঠিক করতে দ্রুত রিভিউ শুনানির আবেদন করে বিচারকদের সংগঠন জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই আবেদন করা হয়। পাশাপাশি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলরাও রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদায় অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নির্ধারণ করে রায় দেন, যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর।
রায়ে বলা হয়:
– সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন হওয়ায়, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে স্থান দিতে হবে।
– জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচারকদের অবস্থান সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত করে রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ১৬ নম্বরে নির্ধারণ করতে হবে।
– অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচারকদের স্থান হবে তাদের পরেই, ১৭ নম্বরে।
রায়ে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার তালিকা কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহার হবে, নীতিনির্ধারণী বা প্রশাসনিক কোনো কার্যক্রমে এর প্রভাব পড়বে না।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ প্রণয়ন করে সরকার, যা ২০০০ সালে সংশোধন করা হয়। পরে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। সেই রিটের শুনানিতে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সংশোধিত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেন।