সর্বশেষ
করমচা ফলের মতো
এআইয়ের দুর্বলতা শনাক্তে ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত পুরস্কার দেবে মাইক্রোসফট
পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে পরীক্ষার মুখে ভারতের সামরিক বাহিনী
যেসব খাবার খেলে ঘুম ভালো হয়
রোদচশমায় মেহজাবীনের সামার পার্টি লুক
চশমা ছাড়াই বাচ্চাদের দৃষ্টি সমস্যা সমাধানে আসছে এল আই ড্রপ
আপনার মানসিক স্বাস্থ্যে বইয়ের ভূমিকা
বলিউডের এই বিদেশি তারকা, দেখে নিন তাঁদের আকর্ষণীয় যত লুক
গরমে আখের রস খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যকর? কী বলছেন পুষ্টিবিদরা
আয়রনের ঘাটতিতে ভুগছেন
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার অভ্যাস গড়ি
বিয়ের জন্য পাত্র পাচ্ছেন না মিলা, আগ্রহীদের বললেন বায়োডাটা পাঠাতে
বেসরকারি ব্যাংকে সহকারী রিলেশনশিপ অফিসার পদে চাকরির সুযোগ
ইন্টারপোলের মাধ্যমে সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ
একাধিক প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ, যা বললেন অভিনেত্রী

ঠাকুরগাঁওয়ে সেই গা‌য়ে‌বি মাদ্রাসার বিরু‌দ্ধে শিক্ষ‌কের অ‌ভি‌যোগ

অনলাইন ডেস্ক

ঠাকুরগাঁওয়ে বহুল আলোচিত সেই গায়েবি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে এবার লিখিত অভিযোগ দিলেন এক প্রধান শিক্ষক। রোববার সদর উপজেলার পূর্ব বেগুনবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম জেলা প্রশাসকের কাছে এ অভিযোগ দেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ১৯৮১ সালে ‘নতুনপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। ১৯৯৯ সালে এটি দাখিল পর্যায়ের স্বীকৃতি পায় এবং ২০০২ সালে এমপিওভুক্ত হয়। পুরোনো ইবতেদায়ী শাখার কোড (৮০০৫০১২৯০৪) বাতিল না হওয়ায় সেটি এখনও সক্রিয় রয়েছে। এই কোড ব্যবহার করে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে আরেকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে।

রেজাউল করিমের অভিযোগ, নিয়ম অনুযায়ী নতুন ইবতেদায়ী প্রতিষ্ঠান ন্যূনতম দুই কিলোমিটার দূরে স্থাপন করতে হয়। নিয়ম ভেঙে গড়ে ওঠা নতুন প্রতিষ্ঠান মূল মাদ্রাসার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এবং ভবিষ্যতে বিভ্রান্তি ও আইনি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নতুনপাড়া এলাকায় সেই গায়েবি মাদ্রাসায় অভিযান চালায় দুদক। সংস্থাটির তদন্তে দেখা গেছে, ধানখেতের মধ্যে সামান্য একটি টিনের ঘরকেই দেখানো হচ্ছে ‘নতুনপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা’ হিসেবে। কোনো নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রম নেই, নেই শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রমাণও।

প্রশাসনের তদন্তেও গায়েবি মাদ্রাসার আমলনামা উঠে এসেছে। গত ৬ এপ্রিল সরেজমিন গায়েবি মাদ্রাসটিতে যান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আখতার। তার প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, ‘নতুনপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা’ নামে বাস্তবে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। সেখানে কোনো শিক্ষাকার্যক্রমও পরিচালিত হয় না। প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে দাবি করা ব্যক্তি শাহিনুর আলমও কোনো বৈধ কাগজপত্র, শিক্ষক নিয়োগের প্রমাণ কিংবা শ্রেণি কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এ গায়েবি মাদ্রাসার পেছনে রয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক তালিকায় উঠে এসেছে পূর্ব বেগুনবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মতিনের আত্মীয়স্বজনদের নাম। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে রয়েছেন তার বড় ভাই আমিনুল হক সরদার, যিনি বেগুনবাড়ী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।

 

সূত্র: যুগান্তর

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ