আমরা যদি রাতে ঠিক মত ঘুমাতে না পারি, তবে তার প্রভাব কিন্তু পরের দিন সকালে শরীরে পড়বেই। শুধু তাই নয়, এই সমস্যা যদি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তবে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
বর্তমানে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে স্বাস্থ্য নিয়ে নানা সমস্যায় ভুগছেন বহু মানুষ। অনেকেই আছেন যাদের রাতে হালকা ঘুমের কারণে চোখ বারবার খুলে যায়। যা পরের দিনের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভালো ঘুম হওয়ার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন। যেমন- প্রতিদিন মোটামুটি একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করুন। ঘুমাতে চাওয়ার বেশ খানিকটা সময় আগেই রাতের খাবার খাওয়া সেরে নেওয়া প্রয়োজন।
আর মোবাইল, ল্যাপটপ- এইসব ডিভাইস নিয়ে একেবারেই বিছানায় ঘুমাতে যাবেন না। তবে বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে এত নিয়ম মেনে চলা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাহলে কী করবেন?
আপনি জানলে অবাক হবেন যে, রাতে যাতে ভালোভাবে ঘুম হয় তার জন্য রয়েছে কিছু খাবার। এগুলি ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেলে উপকার পাবেন। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
বাদাম
শান্তিপূর্ণ ঘুম চাইলে অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় বাদাম অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রতিদিন মাত্র ৬ থেকে ৭টি বাদাম খেলে আপনার অনিদ্রার সমস্যা দূর হতে পারে। আপনার খাদ্যতালিকায় বাদাম অন্তর্ভুক্ত করলে মানসিক চাপ থেকেও মুক্তি পাবেন এবং আপনার ঘুমের চক্রও উন্নত হবে।
কলা
কলা শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে, আপনার খাদ্যতালিকায় কলা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এতে কেবল ম্যাগনেসিয়ামই পাওয়া যায় না, বরং এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামও রয়েছে। নিয়মিত কলা খেলে শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।
দই
গরমে পেট ঠাণ্ডা রাখতে শেষ পাতে রাখুন দই, দই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি কেবল আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, বরং ঘুমের অভাব কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করতে পারে। যদি আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় ১০০ গ্রাম কম চর্বিযুক্ত দই অন্তর্ভুক্ত করেন, তাহলে আপনি এতে প্রায় ১৯ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম পাবেন।
পালংশাক
পালংশাক একটি সুপারফুড হিসেবেও পরিচিত। এতে আপনি কেবল ম্যাগনেসিয়ামই পাবেন না, আরও অনেক প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থও পাবেন। যদি রাতে ঠিক মতো ঘুম না হয়, তাহলে অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় পালংশাক অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।