সারা বছর মুখে ঘা-এর সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তবে অনেকেই দুদিন পড়ে সেরে যাবে ভেবে এড়িয়ে যান,এই সমস্যাকে। এটা কিন্তু মোটেও ঠিক কাজ নয়। নানা কারণে মুখে ঘা হতে পারে।
অনেক সময় মুখে আলসারের কারণে ঘা হয়। যা অনেকটা জ্বর ঠুঁটোর মত দেখতে লাগে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে হরমোনের ভারসাম্যে হেরফের, পেট পরিষ্কার না হওয়া। নানা কারণে হতে পারে মুখের আলসার। একে অবহেলা করলে বড় বিপদ হতে পারে।
আবার শরীরে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদির অভাব দেখা দিলেও মুখে আলসার বা ঘা হতে পারে। অনেকে দাঁতের কারণে মুখে ব্রেসেস পরতে হয়। সেই ক্ষেত্রেও অনেক সময় ঘা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তবে কারণ যাই হোক না কেন মুখে ঘা হলে নিজেদেরকে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। টক, ঝাল যাই খেতে যাবেন জ্বালা করে, ব্যথা হয় ঠোঁটে। সামান্য তেল-মশলা যুক্ত খাবার গেলেই হয়েছে আর কি! মুখের জ্বালায় অতিষ্ট জীবন।
এই সময় তাই সব সময় মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে। বেশি পরিমাণে জল খেতে হয়। রয়েছে আরও নানা নিয়ম। মুখে আলসার হলে কী করলে মিলবে আরাম? রইল টিপস।
আলসার কমাতে ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য নুন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুই-ই কমে আসবে।
ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, বেশ উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে তবেই সুফল পাবেন। ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাওয়া যায়।
মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়েও রাখতে পারেন। কিছু দিনের মধ্যেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা কমে যাবে। অথবা ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা। এক কাপ জলে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। বা বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
তবে একটি কথা মনে রাখবেন, এই সবই হল ঘরোয়া টোটকা। তাই বেশি বাড়াবাড়ি হলে বা এই টোটকা কাজে না দিলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফেলে রাখলে কিন্তু এর থেকে বড় কোনও বিপদ হতে পারে।