সর্বশেষ
ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে হামলা চালানোর পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন মোদি
বিশ্বের চোখের সামনে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরাইল
হত্যাচেষ্টা মামলার আসামির তালিকায় সুবর্ণা মুস্তাফা, অপু বিশ্বাসসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নাম
হাসিনা আর বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না: মির্জা ফখরুল
‘বেগম খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফেরাতে কাজ করছে সরকার’
আইএমএফ কিস্তি না দিলে নিজেদের মতো করে বাজেট করব: অর্থ উপদেষ্টা
অভিনেতা সিদ্দিককে ধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ
ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত
এনসিপির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, হঠাৎ কেন এ কথা বললেন উমামা ফাতেমা
বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেফতারের দাবিতে সুপ্রিমকোর্টে বিক্ষোভ
শেখ রেহানার স্বামী-দেবরসহ ৮ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
ইশরাকসহ নতুন মেয়রদের যে প্রশ্ন করতে বললেন আসিফ নজরুল
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই: জামায়াত আমির
বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব দিলেন প্রীতি জিনতা
ইশরাকের মেয়র পদ নিয়ে এত বিতর্ক কেন, শপথ নিলে কতদিন থাকতে পারবেন?

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে: প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক

পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বৈরাচারী শাসনামলের ১৫ বছরে দেশের পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করার সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। স্বৈরাচারের অবৈধ, অন্যায় আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনী ব্যাপকভাবে জনরোষের মুখে পড়ে। অনেক সৎ পুলিশ সদস্যদেরও এজন্য মাশুল দিতে হয়েছে।

অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাঙালি পুলিশ সদস্যরা সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাসে এটা গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়। আজকের দিনে আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

তিনি আরও বলেন, গত আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব নেয় সেসময় এ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। পুলিশের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। সরকার পরিস্থিতির উন্নতির জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবরকমের ব্যবস্থা নিয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগ নিরসন, বিশেষ অভিযান পরিচালনা, অংশীজনের সঙ্গে পুলিশের আন্তঃযোগাযোগ জোরদার করা, পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে প্রয়োজনীয় প্রণোদনামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের অধিকার, মর্যাদা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে, কোনো বৈষম্য থাকবে না- যুগ যুগ ধরে এটাই দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ আকাঙ্ক্ষা পূরণে জোর ভূমিকা রাখতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে শান্তিপূর্ণভাবে দূর্গাপূজা, বিশ্ব ইজতেমা, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দেশে যতগুলো অপরাধ হচ্ছে সবগুলো ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এজন্য তিনি পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

 

সূত্র: যুগান্তর

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ