গাজীপুরের টঙ্গীর চেরাগ আলীতে অবস্থিত যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকদের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কারখানাটির এডমিন ম্যানেজার সোলায়মান কবির বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আর রাতেই সেই মামলায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আশরাফুল ইসলাম (২০), শাকিব খান (২৫), শাকিল (২৬), মনির হোসেন (২৪), সুমন মিয়া (২৮), জয় মিয়া (২২) ও আরিফুল ইসলাম হাকিম (৩৮)।
বুধবার টঙ্গী পূর্ব থানা সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
এদিকে, সংঘর্ষের পর আরও ৭৫ শ্রমিককে ছাঁটাই করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এর আগে কারখানাটির ১১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছিল। যার জেরে ছাঁটাইকৃত ও নিয়মিত শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
থানা সূত্র বলছে, সংঘর্ষের ঘটনার দিন রাতেই যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেডের এডমিন ম্যানেজার সোলায়মান কবির ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন। এতে আরও ১৮৯ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেডে দুই হাজারেরও বেশি শ্রমিক কাজ করেন। গত ২২ এপ্রিল কর্তৃপক্ষ ১১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেন। এরপর থেকে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে নিয়মিত শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করে আসছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকেরা স্বপ্রণোদিতভাবে কাজে আসলে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকেরা এতে বাধা দেন। এতে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ পরিস্থিতিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
সূত্র: যুগান্তর