সর্বশেষ
চিকিৎসকদের যেখানে পোস্টিং সেখানে থাকা নিশ্চিত করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের
আইসিসির মাসসেরার মনোনয়ন পেল মেহেদী মিরাজ
ইতালি যেতে আগ্রহী শ্রমিকদের জন্য সুখবর
সিংড়ায় ৩৬ টাকা কেজিতে বোরো ধান সংগ্রহ শুরু
এবার রাতে ভোট হবে না: সিইসি
চুয়াডাঙ্গায় অনিয়ম-বৈষম্যের প্রতিবাদে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের কর্মবিরতি
যে ভিটামিনের অভাবে স্মৃতিশক্তি কমে যায়
নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকারা বর্তমানে কে কী করছেন?
ইমরান খান ও বিলাওয়ালের এক্স অ্যাকাউন্ট ব্লক করল ভারত
রুশ বিজয় দিবসে অংশ নিতে মস্কো যাচ্ছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
নারী স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট গঠনের প্রস্তাব, বাস্তবায়নে প্রয়োজন দুই বছর
রাশমিকার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন বিজয়, তবে কি প্রেমে বিচ্ছেদ?
ভেজাল খাদ্যের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে শেরপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের পথসভা
আফতাব নগরে বসবে না পশুর হাট, দুই সিটির ইজারা বিজ্ঞপ্তি হাইকোর্টে বাতিল

নারী স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট গঠনের প্রস্তাব, বাস্তবায়নে প্রয়োজন দুই বছর

অনলাইন ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও বৈষম্যের শৃঙ্খলে আটকে থাকা দেশের স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজাতে চূড়ান্ত সুপারিশ পেশ করেছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান সোমবার (৫ মে) প্রধান উপদেষ্টার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

দেশের কোটি কোটি মানুষ এখনও মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। অনেকে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছেন, আবার যাদের সামর্থ্য আছে, তারাও বেসরকারি হাসপাতালের চড়া ব্যয়ের কারণে সীমাহীন কষ্টে পড়েন। এই বাস্তবতা বদলাতেই সরকার বড় ধরনের আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পথে হাঁটতে চায়।

প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যসেবাকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে কমিশন। একইসঙ্গে প্রস্তাব করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস’ নামে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান গঠনের। এর মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে পরিকল্পনা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য বিনামূল্যে নিশ্চিত করার পাশাপাশি কমিশন ইউনিক হেলথ আইডি ও স্মার্ট হেলথ কার্ড চালুর সুপারিশ করেছে। এই কার্ডের মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিকের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য ডিজিটালি সংরক্ষিত থাকবে, যা চিকিৎসা কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ করবে।

বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সেবার মূল্য নির্ধারণ, মান নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির সুপারিশ এসেছে কমিশনের প্রতিবেদনে। একইসঙ্গে প্রস্তাব এসেছে, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রতিনিধিরা আর সরাসরি চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না— বরং তাদের তথ্য ই-মেইলের মাধ্যমে দিতে হবে। এতে ঘুষ ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা কমবে বলে দাবি করা হয়।

কমিশন জানিয়েছে, প্রতিটি বিভাগে আন্তর্জাতিক মানের একটি করে আঞ্চলিক রেফারেল হাসপাতাল গড়ে তোলা উচিত। পাশাপাশি যেসব হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ মানহীন ও অপ্রাতিষ্ঠানিক, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছে তারা।

প্রতিবেদনে একটি জাতীয় নারী স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট গঠনের প্রস্তাবও এসেছে। একইসঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা সম্প্রসারণ, ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং প্রবেশাধিকার সহজ করার জন্য আলাদা আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হয়েছে।

কমিশনের মতে, এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন কমপক্ষে দুই বছর। এজন্য আইনি সংস্কার, বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়ানোর দিকেও নজর দিতে হবে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ