সর্বশেষ
প্রতিদিন একটি টমেটো কি ফলের বিকল্প হতে পারে?
শরীরে কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন অভাব হচ্ছে ভিটামিন সি!
পোশাক-রূপচর্চায় কত খরচ করেন মালাইকা?
পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের রূপে মজে আছেন সবাই
মেকআপ তোলা জরুরি: জেনে নিন সঠিক নিয়ম
প্রতিদিন মাত্র একটি ডুমুর খেলেই যে ৭ উপকার পাবেন
নতুন ২টি বোল্ড লুকে টেলিভিশনের জনপ্রিয় বউ তৃণা
পল্লী জননী
মৃত ব্যক্তিকে কাফন পরানোর নিয়ম
‘আ. লীগকে পুনর্বাসন ও ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা চলছে’
গোবিন্দগঞ্জে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পেতে মাদক বিরোধী সমাবেশ ও মানববন্ধন
গোবিন্দগঞ্জে লাম্পি রোগে আক্রান্ত গরু সরকারি ভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পাওয়ায় দিশেহারা গরুর মালিক ও খামারীরা
আবদুল হামিদের দেশত্যাগে যা বলল এনডিবি
আমরা বিএনপির অপেক্ষায়: সারজিস
আ’লীগ নেতা ও সাবেক পিপি ফারুক আহমেদ প্রিন্সকে কারাগারে

পলাশবাড়ী এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পলাশবাড়ী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর উপসহকারী প্রকৌশলী হেলালুর রহমান হেলাল-এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও স্থানীয় একাধিক সূত্র এসব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।
জানা গেছে, এলজিইডি’র তহবিল থেকে প্রায় ৯ কোটি ৫৮ লাখ ২শত ৮ টাকা ব্যয়ে হোসেনপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে হরিতোলা হাট পর্যন্ত রাস্তা (চেইনেজ ০.০০–৫০০০ এবং ৫৮০০–৮৪৫০ মিটার) পাকা করার জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এলাকাবাসীর মতে, এটি ইউনিয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কগুলোর একটি। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরিবর্তে উপসহকারী প্রকৌশলী হেলাল একটি কম গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা রাস্তার জন্য নতুন ইস্টিমেট তৈরি করে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আর্থিক সুবিধা ও প্রভাবশালী মহলের চাপে প্রকৌশলী হেলাল প্রকল্পটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। এ বিষয়ে আটঘরিয়া গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা ও বিএনপি নেতা মো.হযরত আলী বলেন, “এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, হাটবাজার ও উপজেলা শহরে যাতায়াত করে কয়েক হাজার মানুষ। অথচ আমাদের সেই রাস্তার উন্নয়ন না করে গায়ের পাশের একেবারে কম ব্যবহৃত রাস্তা উন্নয়নের চেষ্টা চলছে, যা পুরোপুরি জনস্বার্থবিরোধী।”
এছাড়াও এলজিইডি’র আওতাধীন অন্যান্য সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, হেলালুর রহমান হেলাল কাজের তদারকিতে অনিয়ম করে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৭-১০ শতাংশ হারে কমিশন নিয়ে থাকেন। এর ফলে নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে এবং নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই কাজ শেষ করছে ঠিকাদাররা।
এ বিষয়ে এলজিইডি পলাশবাড়ী অফিসের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “উপসহকারী প্রকৌশলী হেলালুর রহমান হেলাল-এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একাধিক লিখিত এবং মৌখিক অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।” এদিকে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে— “প্রকৃত জনস্বার্থের প্রকল্প যেন বাস্তবায়ন হয়, সেই সঙ্গে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ