ইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস রোগ। মারাত্মক এ রোগটি গরু থেকে গরুতে ছড়িয়ে পড়ছে। কৃষক ও খামারীরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করলেও এ রোগ আক্রান্ত হয়ে অনেক গরু মৃত্যু ঘটছে। সরকারি ভাবে প্রয়োজনিয় চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ তাদের। উপজেলা প্রাণী সম্পাদ বিভাগের কর্মকর্তা বলছেন এ রোগে চার ভাগ গরুর মৃত্যু হয়ে থাকে এর পরেও রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনিয় চিকিৎসা পরামর্শ দিচ্ছেনা তারা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস বা এলএসডি রোগ দেখা দিয়েছে। এ রোগ এক গরু থেকে অন্য গরুতে ঝড়িয়ে পড়ায় প্রতি নিয়তে লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়ে মহামারি আকার ধারন করতে যাচ্ছে। এতে করে প্রতিনিয়ত লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্য বাড়ছে। মারাত্মক ভাবে গরুর এ রোগ দেখা দেওয়ায় দিশাহারা হয়ে পরেছে কৃষক ও খামারী।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বগুলাগাড়ী নয়াপাড়া গ্রমের নুরুল ইসলাম খন্দকার জানান ভাইরাস জনিত এ রোগে আক্রান্ত গরুর প্রথমে জ্বার,ব্যথা,খবার গ্রহণে অরুচি দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গোলাকার গুটি গুটি বা ফোস্কা ওঠে,পায়ে,গলায় এবং শরীরের নিম্নাংশে ফুলে পানি জমে,এক পর্যায়ে গুটি বা ফোস্কা ফেটে গিয়ে ক্ষত সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় ভাবে রোগে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা করলেও সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় আনেক গরুর মৃত্যু ঘটছে। এছাড়াও সাপমাড়া ইউপির সাহেবগঞ্জ গ্রামের অনেক ক্ষুদ্র খামারী বলেন মহামারী আকারে এ রোগ ছড়িয়ে পরলেও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের প্রয়োজনিয় পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা পর্যন্ত না পাওয়া অভিযোগ আক্রান্ত গরুর মালিকদের।
গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ একটি ভাইরাস জনিত রোগ বলে জানান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ। তিনি আরো বলেন এ রোগে গরুর মৃত্যুর হার ৪ ভাগ। রক্ত চোষা আঠালী,মাইট,মশা ও মাছির মাধ্যমে রোগটি দ্রুত ছড়ায় তাই এ ব্যপারে গরুর মলিক ও খামারীদের পরামর্শ ও আক্রন্ত গরুকে প্রয়োজনিয় চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে জানান তারা। এছাড়াও রোগ আক্রন্ত পশুর চিকিৎসা নিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ ও প্রয়োজনে প্রাণিসম্পদ ও ভেটেনারি হাসপাতাল গরু নিয়ে এসে চিকিৎসা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান এ জেলায় প্রায় ১৫ লক্ষ ৩০ হাজার ২শ’৩ টি গরু রয়েছে। এছাড়াও ১৫ হাজার দুগ্ধজাত ও ১১হাজার ২শ’ ৭০টি মোটাতাজা করণ গরুর খামার আছে। জেলা প্রাণিসম্পদের তথ্য অনুযায়ি গত এপ্রিল মাসে লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগ আক্রান্ত ৩শ’৭৬ টি গরুকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এসব গরুর রোগ নিমূলে সুচিকিৎসায় প্রাণিসম্পদ বিভাগ অন্তরিক হবে এবং দ্রুত প্রয়োজনিয় পদক্ষেব গ্রহন করবে এমটি দাবি কৃষক ও খামারিদের।