ভিটামিন সি অ্যাসকরবিক অ্যাসিড নামেও পরিচিত। আমাদের শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এর অভাবে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিটামিন সি-এর অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, জয়েন্টে ব্যথা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা বা ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। তাই দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার (যেমন – লেবু, আমলকী, পেয়ারা, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, ব্রকলি ইত্যাদি) রাখা অত্যন্ত জরুরি।
কীভাবে বুঝবেন দেহে ভিটামিন সি-এর অভাব হচ্ছে?
১. মাড়ি থেকে রক্তপাত ও দাঁতের সমস্যা: ভিটামিন সি-এর অভাবে স্কার্ভি নামক রোগ হয়, যার অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো মাড়ি দুর্বল হয়ে যাওয়া, ফুলে যাওয়া এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া। এটি দাঁতের গোড়া দুর্বল করে দিতে পারে এবং গুরুতর ক্ষেত্রে দাঁত পড়েও যেতে পারে।
২. রক্তস্বল্পতা: ভিটামিন সি শরীরে আয়রন শোষণে সাহায্য করে। এর অভাব হলে শরীর সঠিকভাবে আয়রন শোষণ করতে পারে না, যার ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়ে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। এতে শরীর দুর্বল ও ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
৩. ক্লান্তি ও দুর্বলতা: পর্যাপ্ত ভিটামিন সি-এর অভাবে শরীরের শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। এর ফলে অল্পতেই খুব বেশি ক্লান্তি লাগা, শারীরিক দুর্বলতা এবং অবসাদ দেখা দিতে পারে।
৪. ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা: ভিটামিন সি কোলাজেন নামক প্রোটিন তৈরির জন্য অপরিহার্য, যা ত্বককে সুস্থ ও টানটান রাখে। এর অভাবে ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন কমে যায়, ফলে ত্বক শুষ্ক, খসখসে ও প্রাণহীন হয়ে পড়তে পারে। এছাড়া ত্বকে সহজে কালশিটে দাগ পড়া বা ছোট ছোট লাল দাগ দেখা দেওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে।
৫. ক্ষতস্থান সহজে না শুকানো: শরীরের কোনও স্থানে আঘাত লাগলে বা কেটে গেলে, সেই ক্ষতস্থান দ্রুত সারিয়ে তোলার জন্য ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর অভাব হলে ক্ষতস্থান সহজে শুকাতে চায় না এবং সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।