সর্বশেষ
সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত
‘জুলাই’ শহীদ পরিবার সোসাইটির সঙ্গে জামায়াত আমিরের মতবিনিময়
বৈষম্য নিরসনে ১৬ দাবি জাতীয় শিক্ষক ফোরামের
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান, আকস্মিক ঘোষণা ট্রাম্পের
পাকিস্তান সফর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’: ক্রীড়া উপদেষ্টা
পাঁচ সচিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
আ.লীগ নিষিদ্ধে এক ঘণ্টার আলটিমেটাম
দেশে বর্তমানে যথেষ্ট খাদ্য মজুত রয়েছে: খাদ্য উপদেষ্টা
দেশের ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না: ফখরুল
হাসিনার বেয়াইয়ের করা ২ ডজন মামলার আসামি স্বামী-স্ত্রী
ভারত কি নিজের পায়ে কুড়াল মারল?
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ: সারাদিনে যা ঘটল
জনবল নিয়োগ দেবে ডিপিডিসি, আবেদন অনলাইনে
‘আমরা ফ্লাই করার ২০ মিনিট পর এয়ারপোর্টে মিসাইল পড়ে’
নির্বাহী আদেশে আ.লীগ নিষিদ্ধ সংকটের সমাধান নয়

নির্বাহী আদেশে আ.লীগ নিষিদ্ধ সংকটের সমাধান নয়

অনলাইন ডেস্ক

নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সংকটের সমাধান করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাইফুল হক বলেন, দেশে জবরদস্তি করে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন চালাতে গিয়ে অনেক আগেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে।গত ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়েও আরেকবার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার আইনি সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি যতটা না আইনগত তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক বিষয়।সে কারণে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয় রাজনৈতিক দল ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের মধ্যে মতৈক্য প্রয়োজন। আর গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আওয়ামী লীগের মতো দলকে নিষিদ্ধ করা সংকটের সমাধান নয়; বরং তাকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংগঠনিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন ও অকার্যকর করে তোলাটাই বেশি জরুরি। আর মতৈক্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হলে সেটা আইনগত বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা সমীচীন। তা নাহলে এটা নিয়ে দেশে বা আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকবে।

সাইফুল হক বলেন, কোনো নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে গেলে একদিকে আওয়ামী লীগের শত সহস্র অপরাধ ঢাকা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে,  আর অন্যদিকে উল্টো আওয়ামী লীগের প্রতি একধরনের সহানুভূতিও তৈরি হতে পারে।

তিনি বলেন, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার দ্বৈত ভূমিকা দেশবাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।কারা সরকার চালাচ্ছেন- তা নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। একদিকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে দেশত্যাগ করতে দেওয়া হচ্ছে, আবার অন্যদিকে নীতিনির্ধারকেরা কেউই তার দায়িত্ব নিচ্ছেন না। সরকার গঠনের ৯ মাস পরেও যদি এই ধারা চলতে থাকে তাহলে সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতা বলে কিছু থাকে না।যতদিন যাচ্ছে সরকারের মধ্যেই নানা সরকার, নানা কেন্দ্র বেরিয়ে আসছে। দুই দিন আগে এক উপদেষ্টার বক্তব্যেও তার স্বীকৃতি মিলেছে।

সাইফুল হক বলেন, আমরা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।আলাপ-আলোচনার পথে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে উভয় দেশের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোনোভাবেই এই যুদ্ধ উন্মাদনার অংশ হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভারত গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে ভারতীয় নাগরিকদেরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন করাচ্ছে তা একটি সন্ত্রাসী ও আগ্রাসী তৎপরতার শামিল। তিনি ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে এর জোরালো প্রতিবাদ করা এবং এই তৎপরতা বন্ধ করানোর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফিরোজ আলী, কেন্দ্রীয় সংগঠক বাবর চৌধুরী জামাল সিকদার, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ