সর্বশেষ
জুলাইকে দলীয় ফ্রেমে চিন্তা করলে এর শক্তিশালী চেতনা ম্লান হবে: সিবগাতুল্লাহ
কোথায় তৈরি হয় এতো অটোরিকশা, নেপথ্যেই বা কারা?
সাইবার স্পেসেও নিষিদ্ধ হলো আ.লীগের কার্যক্রম
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নেবে বিটিআরসি
ফ্যাসিবাদের প্রতিনিধি আবদুল হামিদের লাল পাসপোর্ট বাতিল হয়নি: রিজভী
আট নায়িকাকে সামলানোর দায়িত্ব মোশাররফ করিমের কাঁধে
পথশিশুদের দাঁতের যত্নে বসুন্ধরা শুভসংঘের টুথ ব্রাশ ও পেস্ট বিতরণ
রাতে দুধ খাওয়া কাদের জন্য চরম বিপদজনক?
এলডিসি উত্তরণে জরুরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান
সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার
আ. লীগ ঝটিকা মিছিল করলে সর্বোচ্চ বলপ্রয়োগ: ডিবি
গরমে স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া অফিস
‘গণঅভ্যুত্থানের মামলা তদন্তে বিশেষ মনিটরিং সেল হচ্ছে’
আয়নাঘরে বন্দিদের একাকিত্বের তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে যা বললেন নাবিলা ইদ্রিস
‘আমি আর লিখব না’, কেন বললেন উপদেষ্টা মাহফুজ

নবীজির সঙ্গে যারা জান্নাতে থাকবে

অনলাইন ডেস্ক

পৃথিবীতে নবীর সঙ্গী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন একমাত্র সাহাবায়ে কেরাম। দুনিয়ার জীবনে আর কোনো মুমিনের এ সৌভাগ্য ললাটে আসবে না। তবে নবীজি (সা.) এমন কিছু আমল বর্ণনা করেছেন যা পালন করলে মুমিন ব্যক্তি জান্নাতে তঁার সান্নিধ্য লাভ করবে। যার কয়েকটি হলো

বেশি বেশি সিজদা করা : রাবিআহ ইবনে কাব (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে রাতযাপন করতাম। একদা আমি তঁার অজু ও ইসতেনজা করার জন্য পানি আনলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, তোমার কিছু চাওয়ার থাকলে চাইতে পারো। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আপনার সঙ্গে জান্নাতে থাকতে চাই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ওটা ছাড়া আর কিছু চাও কি? আমি বললাম, এটাই চাই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে বেশি বেশি সিজদার দ্বারা তুমি এই ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কোরো।’ (মুসলিম, হাদিস : ৪৮৯)

এতিমের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা : সাহাল বিন সাদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, Èআমি ও এতিম প্রতিপালনকারী জান্নাতে এভাবে থাকব (তিনি তর্জনী ও মধ্যমা অঙ্গুলি দিয়ে ইঙ্গিত করেন এবং এই দুটির মধ্যে তিনি সামান্য ফাঁক রাখেন)।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৩০৪)

কন্যাসন্তান লালন করা : আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দুটি কন্যাসন্তানের ভরণ-পোষণ করবে আমি এবং সে এভাবে জান্নাতে থাকব। (মধ্যমা ও শাহাদাত আঙ্গুল যেমন পাশাপাশি থাকে)।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯১৪)

বোনদের প্রতিপালন করা : আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, একবার রাসুল (সা.) মধ্যমা ও শাহাদাত অঙ্গুলীর দিকে ইশারা করে বলেন, যে ব্যক্তি দুই কন্যা বা দুই বোনের ভরণ-পোষণ করবে কিংবা তিন কন্যা বা তিন বোনের ভরণ-পোষণ করবে, যতক্ষণ না তাদের বিয়ে হবে কিংবা সে মৃতু্বরণ করবে, আমি এবং সে জান্নাতে এভাবে (পাশাপাশি) থাকব।’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৪৪৭)

উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া : আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, একবার রাসুল (সা.) বললেন, আমি কি তোমাদেরকে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে অবগত করব না যে কিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে? সাহাবায়ে কেরাম চুপ রইলেন। রাসুল (সা.) একই প্রশ্ন করলেন দুই বা তিনবার। তখন তারা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অবশ্যই বলুন। তিনি বললেন, সে হলো ঐ ব্যক্তি, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৬৭৩৫)

নবীজির প্রতি ভালোবাসা : আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল, কিয়ামত কখন হবে? তিনি বলেন, তুমি কিয়ামতের জন্য কি জোগাড় করেছ? সে বলল, কোনো কিছু জোগাড় করতে পারিনি, তবে আমি আল্লাহ ও তঁার রাসুলকে ভালোবাসি। তখন তিনি বলেন, তুমি তাদের সঙ্গেই থাকবে, যাদের তুমি ভালোবাসো। আনাস (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.)-এর কথার দ্বারা আমরা এত আনন্দিত হয়েছি যে অন্য কোনো কথায় এত আনন্দিত হইনি। আনাস (রা.) বলেন, আমি নবী করিম (সা.)-কে ভালোবাসি এবং আবু বকর, ওমর (রা.)-কেও। আশা করি তঁাদের প্রতি আমার ভালোবাসার কারণে তঁাদের সঙ্গে জান্নাতে বসবাস করতে পারব, যদিও তঁাদের আমলের মতো আমল আমি করতে পরিনি।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৬৩৯)

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা : আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, শুনে রাখো, যে আমার ওপর বেশি পরিমাণে দরুদ পাঠ করবে নিশ্চয় কিয়ামতের দিন সে আমার সর্বাধিক নৈকট্যপ্রাপ্ত হবে।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ৩২৪৪৭)

আল্লাহ তাআলা আমাদের এই আমলগুলো যথাযথ পালনের মাধ্যমে নবী (সা.)-এর সান্নিধ্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ