সর্বশেষ
বিমানবন্দর থেকে নিষিদ্ধ আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা
‘অর্থের অভাবে যেন থেমে না যায় স্বপ্ন’ শিক্ষার্থীদের পাশে ছাত্রদল নেতা রবিউল
আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম দিয়ে শাহবাগে গরু-ছাগল জবাই
বিদেশে চিকিৎসার জন্য যে পরিমাণ ডলার নেওয়া যাবে
রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের শ্রম সংস্কারের অগ্রগতি জানালেন লুৎফে সিদ্দিকী
হাসিনার দুঃস্বপ্নই কাল হলো আওয়ামী লীগের
১৭ ও ২৪ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ চলবে
বাবার ৪ বিয়ে দেখে বলিউড অভিনেত্রীর ৬ বার প্রেম
নিজেদের বিলুপ্তির ঘোষণা দিল পিকেকে
‘কোহলির অবসর’ নিয়ে যা বললেন লিটন দাস
‘আবদুল হামিদের জন্য আমার পরিবারকে বিবেচনা করা ভুল সিদ্ধান্ত’
আ. লীগ-জাপাসহ ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল চায় গণঅধিকার পরিষদ
কী বলা আছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে?
বিলাসবহুল উড়োজাহাজে যেসব সুবিধা পাবেন ট্রাম্প

মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভোটাধিকার হরণে আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ: শফিকুল আলম

অনলাইন ডেস্ক

আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

সোমবার (১২ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো হরণ করেছিল। এ কারণে, গণঅভ্যুত্থনের নেতৃত্বদানকারী বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজারে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত গোষ্ঠীকে সরিয়ে দিয়ে যেন আরেকটি অসাধু গোষ্ঠী ঢুকতে না পারে, সেজন্য অর্থনৈতিক খাতে গভীর সংস্কারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসব সংস্কার বাস্তবায়িত হলে সরকারের অগ্রগতি বহুগুণে বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার অফিস সংবাদমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে এবং সব তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের সরকারি অফিসে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

প্রেস সচিব আরও দাবি করেন, “আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বড় ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না থাকা এমন কেউ নেই। গুমের রাজনীতি এ দেশে শুরু করেছে তারাই। জনগণ শেষ কবে ভোট দিয়েছে তা মনে করতে পারে না।”

সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে পূর্বাচলের প্লট নিয়ে ব্যস্ত না থেকে সাংবাদিকদের অধিকার, কপিরাইট আইন এবং ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা বেতন নিশ্চিতে সোচ্চার হওয়া উচিত। যারা এই বেতন দিতে অক্ষম, তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

তিনি জানান, বর্তমান সরকার বাকস্বাধীনতার পক্ষে এবং ‘ফ্রিডম অব স্পিচ’ বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চায়। তবে অতীতে এ অধিকার বারবার খর্ব হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

গণমাধ্যম প্রসঙ্গে শফিকুল বলেন, এই সরকার কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করেনি, যদিও অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কিছু সাংবাদিক কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। সাংবাদিকতার নামে চামচামি বরদাস্ত করা হবে না।

তিনি জানান, সাংবাদিকতার দুরবস্থা মূল্যায়নে একটি কমিশন গঠিত হয়েছে এবং জাতিসংঘকে অনুরোধ করা হবে, যেন একটি নিরপেক্ষ তদন্ত দল শেখ হাসিনার শাসনামলে সাংবাদিকতার ওপর কী প্রভাব পড়েছে তা মূল্যায়ন করে।

 

সূত্র: নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ