সর্বশেষ
লন্ডন বৈঠকে কী হতে যাচ্ছে?
উড্ডয়নের পর পরই আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি
জীবন বলে দেবে কোনটা করা বেশি জরুরি: অপি করিম
বাংলাদেশকে পেনাল্টি না দেওয়া রেফারি ও তার স্ত্রীর ‘ফেসবুক লক’
প্রযোজনায় বাজেট ও কনটেন্টের ভারসাম্য তৈরি করা কঠিন: সকাল
নির্বাচন ডিসেম্বরে হতে হবে: রুহিন হোসেন প্রিন্স
ভারতে ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত
লস অ্যাঞ্জেলেসে ইরাক-সিরিয়ার চেয়েও বেশি সেনা মোতায়েন
বিবাহিত নাগার্জুনের জন্য ১০ বছর অপেক্ষায় ছিলেন টাবু
ভুটানে সাবিনা-সুমাইয়ার হ্যাটট্রিক বিধ্বস্ত প্রতিপক্ষ
কালো জাদুর প্রভাব ও পরিত্রাণের উপায়
ব্রিটেনে পাচার হওয়া অর্থের খোঁজে ড. ইউনূস
ফোন নাম্বার ছাড়াই অডিও-ভিডিও কলের সুবিধা দেবে ‘এক্সচ্যাট’
দিল্লি থেকে ফেরত পাঠানো হলো বাংলাদেশি দাবাড়ুকে, বিপাকে রাণী হামিদ!
খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়ার ৫ স্বাস্থ্য উপকারিতা

কারো মৃত্যুতে পুরুষরা কীভাবে শোক পালন করবে

অনলাইন ডেস্ক

প্রশ্ন: আমরা জানি, স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর ওপর চার মাস দশ দিন শোক পালনের বিধান আছে। এছাড়া নিকটাত্মীয় অন্য কেউ মারা গেলে তিন দিন শোক পালনের যে কথা আছে, তা কি শুধু নারীদের জন্য, নাকি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এ শোক পালনের সুযোগ আছে?

আরও জানার বিষয় হল, স্বামী মারা গেলে যেভাবে নারীরা সাজসজ্জা ত্যাগ করার মাধ্যমে শোক পালন করে, এক্ষেত্রেও কি সেভাবেই তা পালন করতে পারবে? পুরুষরা কীভাবে শোক পালন করবে?

উত্তর: পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়স্বজন কেউ মারা গেলে তার জন্য নারী-পুরুষ সকলেরই তিন দিন পর্যন্ত শোক পালন করা জায়েজ আছে। তিন দিনের বেশি শোক পালন করা জায়েজ নয়।

তিন দিনের এ শোক পালনের বিষয়টি শুধু নারীদের জন্যই নয়; বরং পুরুষরদের জন্যও এর সুযোগ আছে।

আবদুল্লাহ ইবনে জাফর রা. থেকে বর্ণিত– নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাফর রা.-এর পরিবারকে (তার শাহাদাতের পর) তিন দিন শোক পালনের জন্য সময় দেন। এরপর তিনি সেখানে গিয়ে বলেন, আজকের পর তোমরা আর আমার ভাইয়ের জন্য কাঁদবে না। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ৪১৮৯)

ইমামুল হারামাইন জুওয়াইনী রাহ. শোক পালন সংক্রান্ত হাদিস উল্লেখ করে বলেন– এ সময়ে (তিন দিনের) এই শোক পালন কেবল নারীদের সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়। (নিহায়াতুল মাতলাব ১৫/২৪৭)

আর এ শোক পালন দ্বারা উদ্দেশ্য হল, নারীরা চাইলে এসময় সাজসজ্জা পরিত্যাগ করতে পারবে। আর পুরুষরা শোক পালনার্থে এই তিন দিন মৃতের বিয়োগ ব্যথায় ঘরে অবস্থান করতে পারবে।

এছাড়া সকলেই মৃতের জন্য কান্না আসলে বিলাপ না করে কান্নাকাটি ও দুঃখ ভারাক্রান্ত ভাব প্রকাশ করতে পারবে। মৃতের জন্য শোক পালন দ্বারা উদ্দেশ্য শুধু এতটুকুই; এর অতিরিক্ত কিছু নয়।

তবে কারও মৃত্যুতে তিন দিনের এ শোক পালন শুধুই একটি মুবাহ ও বৈধ কাজ; সুন্নত বা মুস্তাহাব কিছুই নয়।

এক্ষেত্রে ভালোভাবে মনে রাখতে হবে যে, শোক প্রকাশের ক্ষেত্রে বিলাপ করা বা হা-হুতাশ করে কান্নাকাটি করা, বুক চাপড়ানো, কপাল চাপড়ানো বা এজাতীয় বাড়াবাড়ি করা সম্পূর্র্ণ নাজায়েজ ও গুনাহ। এর সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই।

এছাড়া বর্তমানে সমাজে শোক পালনের যে প্রথা আবিষ্কার হয়েছে, যেমন, কালো পোশাক পরা, কালো পতাকা টানানো, পতাকা অর্ধনমিত রাখা, বছর বছর শোক দিবস পালন করা, বার্ষিকী পালন করা– এসবই কুসংস্কার ও বিজাতীয় সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত। মুসলমানদের এ ধরনের গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

সূত্র: ফাতহুল কাদীর ৪/১৬০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৬৭; আলমুজতাবা ২/১১৫; আলবাহরুর রায়েক ২/১৯২; মিরকাতুল মাফাতীহ ৮/৩০২, ৪/১৯৪; রদ্দুল মুহতার ২/২৪১

অনলাইন ডেস্ক

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ