সর্বশেষ
শিশুসন্তানকে যৌন নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচাতে যা কিছু করণীয়
হিটস্ট্রোক হলে দ্রুত যা করবেন
লাল শাড়িতে ষাটের দশকের চার্ম নিয়ে এলেন সাদিয়া আয়মান
ত্বকে পুষ্টির অভাব মানেই বার্ধক্যের ছাপ, জানুন বাঁচার উপায়
দক্ষিণি সুন্দরী পার্বতীর ১০টি বোল্ড লুক
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করে তালশাঁস
শুঁটকিতে আছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি, খাওয়ার আগে করণীয় জানালেন পুষ্টিবিদ
আদর্শ পরিবার গঠনে ইসলামের ভূমিকা
জাতীয় সংগীতের পক্ষে কথা বলায় সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে: রিজভী
ঢাবিতে হচ্ছে না ক্লাস-পরীক্ষা, ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১১ বাংলাদেশি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন ঘোষণা শিক্ষক সমিতির
ফুটবল কোচের মতো দলে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চান গম্ভীর
রাজনৈতিক অস্তিরতা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস
যেকোনো বিষয়ে স্নাতকে চাকরি, বয়স ৪২ হলেও আবেদন করা যাবে

শুঁটকিতে আছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি, খাওয়ার আগে করণীয় জানালেন পুষ্টিবিদ

অনলাইন ডেস্ক

সাধারণ তাজা মাছকে কেঁটে ভালোভাবে পরিষ্কার করে রোদে শোকানোর পর মাছ থেকে জলীয় অংশ শুকিয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় মাছের মধ্যে কোনো মাইক্রো অর্গানিজম জন্মানোর আশঙ্কা থাকে না। এভাবে দীর্ঘদিন মাছকে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। যা আমাদের কাছে শুঁটকি নামে পরিচিত।

প্রায় সব মানুষেরই পছন্দের খাবারের মধ্যে একটি শুঁটকি মাছ। কেউ ভর্তা করে, কেউ ভুনা করে, কেউ বিভিন্ন সবজির সঙ্গে ঝোল বা ভাজি করে খেয়ে থাকেন শুঁটকি মাছ। মজাদার হওয়ায় অনেকে নিয়মিত খেয়ে থাকেন। এতে অনেক পুষ্টিও রয়েছে। কিন্তু শুঁটকি যদি ভালোভাবে তৈরি করা না হয়, তবেই বিপদ।

জানেন কী, এই শুঁটকিই ধীরে ধীরে ক্যান্সার নামক মরণব্যাধিতে আক্রান্ত করতে পারে আপনাকে। তা কীভাবে? এ নিয়েই কথা বলেছেন রাজধানীর নিকটস্থ সাভার ডিওএইচএসের প্রায়োরিটি হেলথ সেন্টারের পুষ্টিবিদ শারমীন নকশী। তিনি জানিয়েছেন, শুঁটকি মাছ কিছু কিছু এলাকায় একটু বেশিই জনপ্রিয়। যেমন চট্টগ্রাম। খেয়াল করলে দেখা যায়, চট্টগ্রামে ক্যান্সারের রোগী বেশি। কিন্তু কেন? এর অবশ্য কারণ জানিয়েছে স্বাস্থ্য গবেষণা সাময়িকী ‘ল্যানসেট’।

শুঁটকি ছাড়া ভাত খায়, এমন পরিবার চট্টগ্রামে খুব কম রয়েছে। এই শুঁটকিতে বেশি মুনাফার আশায় চট্টগ্রামের একাংশ শুঁটকি ব্যবসায়ীরা প্রাকৃতিকভাবে শুঁটকি না শুকিয়ে তাতে নিয়মিত ডিডিটি পাওডার (DDT POWDER) প্রয়োগ করে থাকেন। ডিডিটি (DDT )পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষতিকারক বিষ। যাতে রয়েছে ক্লোরিনেটেড হাইড্রোকার্বন- ডিডিটি (DDT), বিএইচসি (BHC), লিনডেন (lindane), ক্লোরোবেনজিলেট (Chlorobenzilate), মিথোক্সিক্লোর (methoxychlor) এবং সাইক্লোডিনেস (cyclodienes)-এর মতো মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ।

পুষ্টিবিদ শারমীন নকশী বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে―শুঁটকি মাছ খাবেন নাকি খাওয়া ছাড়বেন বা ওই সব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লড়বেন? যদি মনে করেন যা হবার তা হবে, এতদিনের অভ্যাস ছাড়া যাবে না, তাহলে শুঁটকি খেতে থাকুন এবং এর মাধ্যমে ক্যান্সারকে স্বাগতম জানান।

তাহালে কি শুঁটকি খাওয়া যাবে?

এ বিষয়ে পুষ্টিবিদের ভাষ্য, অসচেতনতা থেকে ধীরে ধীরে একটি বংশ নির্বংশ হতে পারে ক্যান্সারের মাধ্যমে। তাহলে কী শুঁটকি খাওয়া যাবে না? উত্তর, অবশ্যই খাওয়া যাবে। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে কড়া রোদে শুকিয়ে তৈরি করা শুঁটকি খেতে হবে। রান্নার আগে অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। আর সম্ভব হলে নিজে মাছ কেটে রোদে শুকিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে শুঁটকি তৈরি করুন। এতে যেমন পছন্দের খাবার খাওয়া হবে, একইসঙ্গে রোগের আশঙ্কা থাকবে না।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ