সর্বশেষ
রোববার কলম বিরতিতে যাবেন এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
এক ঠিকানায় সব সেবা দিতে ‘নাগরিক সেবা’র উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ শুরু
ফ্রান্সে গড়ে উঠছে বাংলাদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
সাবেক এমপি জেবুন্নেসা গ্রেফতার
গাজা দখলে এবার ইসরায়েলের নতুন অভিযান শুরু
পাকিস্তান সফর নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিসিবি সভাপতি
চট্টগ্রামের সাবেক কাউন্সিলর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার
মতিঝিলে বহুতল ভবনে আগুন
কোন দাবি নিয়ে সামনে আসবে এনসিপি?
সন্ধ্যায় ইশরাকের জরুরি সংবাদ সম্মেলন
দেশে যেন আর কোনো ফ্যাসিবাদ জন্ম নিতে না পারে: তানিয়া রব
ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন ধারণা দিলেন ড. ইউনূস
খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ শুরু
সুস্থ হয়ে উঠছেন মির্জা ফখরুল
আমিরাতে খোলা চুলের নাচে ট্রাম্পকে স্বাগত জানানো নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা

কফিলদের শিকারের তালিকায় সান্ডা ছাড়াও রয়েছে ‘হুবারা বাস্টার্ড’

অনলাইন ডেস্ক

সম্প্রতি আরব শেখদের প্রিয় খাবারের তালিকায় দেখা গেছে ‘সান্ডা’ নামক এক মরুর গিরগিটি। শেখদের সে খাবারের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে বেশ ভাইরাল। তবে শুধুমাত্র সান্ডাই নয়, আরব শেখরা তাদের যৌনশক্তি বৃদ্ধির জন্য অনেক কিছুই খেয়ে থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম ‘হুবারা বাস্টার্ড’। হুবারা শিকার প্রতি বছর শীতকালে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে যেন এক পরিচিত দৃশ্য এই পাখি শিকার।

বিবিসির এক পুরনো প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হুবারা বাস্টার্ড বা এশিয়ান হুবারা একটি বিরল পরিযায়ী পাখি যেটি শীতকালে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমে এসে বসতি গড়ে। আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংঘ (ইউআইসিএন) এই পাখিকে ‘হুমকির মুখে’ থাকা প্রজাতি হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত করেছে। প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী, এই পাখির মাংস যৌনশক্তি বাড়ায়, আর এই কারণেই প্রতি বছর আরব শেখরা পাকিস্তানে এসে এদের শিকার করেন।

১৯৭৩ সাল থেকে পাকিস্তান আরব রাজপরিবারকে হুবারা শিকারের জন্য আমন্ত্রণ জানানো শুরু করে। ১৯৮৯ সালে সরকারিভাবে বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে দেয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও সৌদি আরবের রাজপরিবারের মধ্যে। যদিও ইদানিং এই পাখি শিকারে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না পাকিস্তান সরকার।

কারণ এই পাখি শিকারকে অনেকেই সমর্থন করেন না। বহু পরিবেশবাদী ও সাধারণ মানুষ হুবারা শিকারের বিরোধিতা করেন। তাদের মতে, এটি বিদেশি প্রভুদের খুশি করার কৌশল ছাড়া কিছুই নয়।

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে ডন উল্লেখ করেছে, পাকিস্তান ও ভারতে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে গ্রেট ইন্ডিয়ান বাস্টার্ড, পৃথিবীর অন্যতম ভারী ও বিরল উড়ন্ত পাখি। পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসস্থান ধ্বংস, অবৈধ শিকার ও শিকারি প্রাণীর আক্রমণে এই পাখির সংখ্যা ভয়াবহভাবে কমে এসেছে।

আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন এই পাখিকে ইতোমধ্যেই ‘চরম বিপন্ন’ প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে মাত্র ২০০ থেকে ২৫০টি গ্রেট ইন্ডিয়ান বাস্টার্ড বেঁচে আছে বলে ধারণা। পাকিস্তানে এই সংখ্যাটি আরও ভীতিকর—মাত্র ২৫ থেকে ৩৫টি পাখি বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলের চোলিস্তান এবং থর মরুভূমিতে বিচরণ করে বলে জানিয়েছে ডব্লিউডব্লিউএফ-পাকিস্তান।

কৃষি সম্প্রসারণ ও বিদ্যুৎ লাইনের খোলা তারে মৃত্যুর পাশাপাশি, পাকিস্তানে এই পাখির সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে অবৈধ শিকার। প্রতিনিয়ত পাকিস্তানে সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রভাবশালী শিকারিদের হাতে প্রতি বছর গড়ে ৪-৫টি বাস্টার্ড নিহত হয়।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ