আতাউর রহমান সরকারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা- আখাউড়া) আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শনিবার ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় এক ইউনিয়ন ও দায়িত্বশীল সমাবেশে দলের প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম।
সাবেক এই ছাত্রনেতা বর্তমানে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি লেখালেখি, সাংবাদিকতা ও সমাজ সেবায় অবদান রাখছেন তিনি। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে সাংবাদিকতা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। আসন্ন নির্বাচনে জামায়াত তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ- উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
আতাউর রহমান সরকার শিক্ষাজীবনের বি এ অনার্স, এমএ, কামিল, পিজিডিএস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এলএলবি (অনার্স) সম্পন্ন করার পাশাপাশি গঠনমূলক ছাত্ররাজীতিতে অবদান রেখে চলেছেন। একাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে সংগঠনের অর্পিত নানা দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেন তিনি। দেশের বৃহৎ ইসলামী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক হিসেবে ২০১১ সালে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে কেন্দ্রীয় প্রচার, আইটি ও তথ্য-গবেষণা সম্পাদক (২০১০), কেন্দ্রীয় স্কুল সম্পাদক (২০০৯), কুমিল্লা মহানগরী সভাপতি (২০০৭-২০০৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি (২০০৫-২০০৬), কুমিল্লা মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক (২০০৪), কুমিল্লার কোটবাড়ি অঞ্চল সভাপতি (২০০২-২০০৩), কসবা উপজেলা সাথী শাখার সভাপতি (২০০১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আর্ত-মানবতার কল্যাণে নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আতাউর রহমান।
এছাড়া নানা রাজনৈতিক সংকটে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। ২০০০ সালে বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের কসবা উপজেলায় সদস্য হিসেবে কাজ করেন তিনি। স্থানীয়দের স্বার্থে ১৯৯৯ সালে কসবায় গ্যাস বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে ভূমিকাও পালন করেছেন এই কৃতি সন্তান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের সদস্য সচিব (২০০৫-২০০৬), কুমিল্লা জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক (২০০৭-২০০৮), জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের হাতিরঝিল, রমনার থানা আমির (২০১৭-২০২২) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এই শিবির নেতা। ১৯৯৮ সালে কসবায় ২০১০, ২০১৬ ও ২০২১ সালে ঢাকায় তিনি ফ্যাসিবাদ আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে দেড় বছর কারারুদ্ধ ছিলেন।