সর্বশেষ
শিক্ষকদের ঈদ বোনাস বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে ‘জটিলতা’
নদীবন্দরগুলোতে সতর্ক সংকেত, ১৪ জেলায় ঝড়ের আভাস
উর্দুভাষীদের অবজ্ঞা করে বৈষম্যহীন সমাজ গড়া সম্ভব না: আনু মুহাম্মদ
ইউক্রেনের আরও দুটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার
নারী সেনা কর্মকর্তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, মন্ত্রীকে আদালতের হুঁশিয়ারি
যুবদল নেতাকে চাঁদা দিয়ে চলছে নদী পাড়ের মাটি কাটা
শিল্পী হিসেবে একটা সিনেমায় অভিনয় করা অপরাধ না: বাসার
সোনালি যুগে মুসলমানদের নিক্ষেপযন্ত্রের ব্যবহার
এনবিআর দুইভাগ করার প্রক্রিয়ায় ঠিক হয়নি: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
লুটেরাদের জব্দ টাকা ব্যবস্থাপনায় আলাদা তহবিল হচ্ছে: গভর্নর
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের করিডর নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে: কাদের গনি চৌধুরী
নারী সংস্কার কমিশন সংক্রান্ত রিটের আদেশ ২৬ মে
আমরা বেঁচে থাকতে আ. লীগের পুনর্বাসন হবে না: নজরুল ইসলাম খান
পাকিস্তানিদের জন্য বাংলাদেশে আসা সহজ হচ্ছে
‘গুলিস্তান ব্লকেড’

উর্দুভাষীদের অবজ্ঞা করে বৈষম্যহীন সমাজ গড়া সম্ভব না: আনু মুহাম্মদ

অনলাইন ডেস্ক

উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর অধিকার অবজ্ঞা করে দেশে বৈষম্যহীন সমাজ গড়া সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, সংবিধানের প্রতিশ্রুতি হলো শোভন জীবনযাপন নিশ্চিত করা। যা থেকে উর্দুভাষীরা বঞ্চিত।

‘বাংলাদেশ উর্দুভাষী অধিকার আন্দোলন’ এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সংগঠনটির সভাপতি মাজিদ ইকবালের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সংগঠক সুজিত চৌধুরী, ইউএসপিওয়াইআরএম-এর সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্‌কু, ব্লাস্টের প্রতিনিধি আহমেদ ইব্রাহিম, রিবের অ্যাডভোকেট রুহি নাজ, এএলআরডির অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ সিরাজী প্রমুখ। সভায় সংগঠনের সভাপতি মাজিদ ইকবাল এবং সাধারণ সম্পাদক মেহনাজ আক্তার সংগঠনটির ঘোষণাপত্র ও দাবিনামা যৌথভাবে তুলে ধরেন।

সভায় আনু মুহাম্মদ বলেন, বাঙালি-বিহারী বিভাজন সৃষ্টি করে লুটপাটের কৌশল তৈরি করে শাসকগোষ্ঠী যার নির্মম শিকার উর্দুভাষীরা। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারও বিহারী জনগোষ্ঠীকে ব্যবহার করেছে। যার চূড়ান্ত পরিণতি আমরা দেখেছি একাত্তর সালে।

উর্দুভাষী অধিকার আন্দোলনের ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সালে মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে বসবাসরত সকল উর্দুভাষী বাংলাদেশিদেরকে বাংলাদেশের নাগরিকের মর্যাদা দেওয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। সুনাগরিক হিসেবে তারা ভোটাধিকার অধিকার পান। সে ভোটাধিকার তারা স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে প্রয়োগ করেছেন।

দেশের তিন লাখ উর্দুভাষী ঢাকাসহ দেশের ৯টি জেলায় ১১৬টি ক্যাম্পে আধুনিক সকল মৌলিক মানবিক সুযোগ–সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে ক্যাম্পে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরও তাদের পুনর্বাসন না করার কারণে তারা ক্যাম্পে এক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ক্যাম্পের পরিধি বাড়লেও এখানে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে ছোট একটা রুমের ভেতর বাস করতে হচ্ছে কয়েক প্রজন্মকে।

এসময় ঘোষণাপত্রের পাশাপাশি আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষীদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে মর্যাদাপূর্ণ পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে, পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত কোনো ক্যাম্প উচ্ছেদ করা যাবে না এবং ক্যাম্পের সকল যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, সরকারি চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর অভিগম্যতার ব্যবস্থা করতে হবে, নিরাপদ খাবার পানির এবং স্বাস্থ্যকর পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে, ক্যাম্পের জনাকীর্ণ-অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশ থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে, ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষীদের সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে, সরকারিভাবে কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যবস্থা করে চিকিৎসার সুযোগ তৈরি করতে হবে, ক্যাম্পে সংলগ্ন সরকারি বিদ্যালয় স্থাপনের করে ক্যাম্প উপযোগী বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

 

সূত্র: সমকাল

অনলাইন ডেস্ক

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ