সর্বশেষ
প্রায় তিন ঘণ্টা পর ঢাকায় অবতরণ করল যুবাদের বহনকারী বিমান
১৯ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত
বাসায় পাসপোর্ট রেখেই পিএসএল খেলতে ছুটলেন মিরাজ
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার
সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না: রিজভী
গোপালগঞ্জে বাসের ধাক্কায় নিহত ১, বিক্ষুব্ধ জনতা পুড়িয়ে দিলো বাসটি
দুদুর বক্তব্যের জবাবে যা বললেন সারজিস আলম
ঈদযাত্রায় কবে কোনদিনের টিকিট পাবেন জেনে নিন
পুতিন যুদ্ধ চালাতে আলোচনায় দেরি করছেন: জেলেনস্কি
কারা অধিদপ্তরে চাকরির সুযোগ
সরকারি কর্মকর্তাদের শাস্তিতে হচ্ছে নতুন বিধান, শৃঙ্খলা ভঙ্গে ২৫ দিনে বরখাস্ত
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জনগণ আর কতদিন অপেক্ষা করবে, প্রশ্ন নজরুল ইসলামের
দিবালা-পারেদেসদের কোচ হবেন ক্লপ?
কলেজছাত্র হত্যায় ২ নারীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
শাহবাগ অবরোধ ছাত্রদলের, যান চলাচল বন্ধ

বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যেই টেসলা সাইবারক্যাব তৈরিতে চীনা পার্টস আমদানি

অনলাইন ডেস্ক

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য উত্তেজনার কিছুটা অবসান ঘটার পর এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন ইভি জায়ান্ট টেসলা। রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, চলতি মাসের শেষ দিকে সাইবারক্যাব ও সেমি ট্রাক তৈরির জন্য চীন থেকে যন্ত্রাংশ আমদানির পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে সদ্য ঘোষিত যুক্তরাষ্ট্র-চীন আপসচুক্তি, যার ফলে বেশিরভাগ শুল্ক ও প্রতীকী ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা কিছুটা কমে এসেছে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলছে শিল্পখাতে।

এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর টেসলা চীন থেকে যন্ত্রাংশ আনার পরিকল্পনা স্থগিত করেছিল। এ সিদ্ধান্তে টেসলার বহুল প্রতীক্ষিত সাইবারক্যাব ও সেমি মডেলের গাড়ির উৎপাদন পরিকল্পনা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিল।

টেক্সাসে সাইবারক্যাব এবং নেভাদায় সেমি ট্রাক উৎপাদনের জন্য চীন থেকে যন্ত্রাংশ সরবরাহ আবার চালু করার সম্ভাব্য প্রস্তুতি নিচ্ছে টেসলা। ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে পরীক্ষামূলক উৎপাদন এবং ২০২৬ সালে পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন শুরুর লক্ষ্য রয়েছে কোম্পানিটির।

তবে, এক সূত্র সতর্ক করে বলেছেন, যন্ত্রাংশ আমদানির পরিকল্পনা এখনো বদলে যেতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের অপ্রত্যাশিত ও পরিবর্তনশীল নীতিকে এ ক্ষেত্রে প্রধান কারণ হিসাবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক বহুবার মুক্ত বাণিজ্যের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন এবং শুল্কনীতির বিরোধিতা করেছেন। প্রথম প্রান্তিকের আয়বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে শুল্ক কমানোর জন্য চাপ দিয়েছিলেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আপাতত বাণিজ্য উত্তেজনা কমলেও পরিস্থিতি এখনো অনিশ্চিত। তবে টেসলার চীন-যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ চেইনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার এ উদ্যোগ প্রযুক্তিখাতে এক গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হিসাবে দেখা যাচ্ছে।

চীন | যুক্তরাষ্ট্র

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ