গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জনগণ আর কতদিন অপেক্ষা করবে এ রকম প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির নজরুল ইসলাম খান। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে এক আলোচনা সভায় দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশের গর্বিত জনগণ আমরা, যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি, যারা গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছি, যারা স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছি এবং এখনো আমরা গণতন্ত্রের প্রত্যাশায় বসে আছি। সেই গণতন্ত্র পূনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কথা বলছি, স্লোগান দিচ্ছি, সভা-সমাবেশ করছি। কত দিন? কত বার আমাদের এই কাজ করতে হবে?’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ছেলে-মেয়েরা প্রাইমারি স্কুল শেষে পরিশ্রম করে হাইস্কুলে যায়, হাইস্কুলে পড়াশুনা শেষে কলেজে যায়, সেখানে পড়াশুনা করে কষ্ট করে ইউনির্ভাসিটিতে যায়। আর আমাদের এই বাংলাদেশের জনগণকে বার বার সেই সাপ-লুড়ু খেলার মতো ৯৩ থেকে ৩ এ চলে আসতে হইতেছে। কেন? আমরা ৯৩ থেকে ৯৪, ৯৫, ৯৬, ৯৭ কইরা ১০০ তে পৌঁছেতে চাই। এই পথে যারাই বাধা সৃষ্টি করবে আমরা তাদের ওই সাপ খেলা লুডুর সাপ বলে মনে করি।’
তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, ‘তারা আমাদের বার বার ফিরিয়ে নিয়ে আসছে। নানা রকমের প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে বাধা সৃষ্টির জন্য। এটা করতে হবে আগে, ওটা করতে হবে আগে… আগে-পরে করার প্রশ্ন তো নাই। যা যা করা দরকার সবই করতে হবে।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি যেটা বলতে চাই, ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর ছিল, যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, যারা তাদের সাথে ছিল তাদের সবার বিচার অবশ্যই করতে হবে। কারণ তারা আমার বিরুদ্ধে, আমার পরিবারের বিরুদ্ধে, আমার বন্ধুর বিরুদ্ধে, আমার সহকর্মীর বিরুদ্ধে, আমার দেশবাসীর বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। অবশ্যই বিচার চাই। কিন্তু সেই বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন করা যাবে না। এই প্রশ্ন যারা তোলে তারা আসলে এই কথা বলে জনপ্রিয় কথার আড়ালে নির্বাচনটাকে বিলম্বিত করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘আপনি জুলুম করতে পারেন যে, তিন দিনের মধ্যে বিচার করতে হবে, সাত দিন বা দশ দিন বা এক মাসের মধ্যে বিচার করতে হবে- এটা করা উচিত? সুবিচারের জন্য এই শব্দটা কি ভালো? আমরা বলেছি যে, দ্রুত বিচার অবশ্যই করতে হবে। কতদিন আগে আমরা লিখিতভাবে সরকারকে বলেছি।’
জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াজের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সূত্র: নিউজ টোয়েন্টিফোর