সর্বশেষ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় সেনাপ্রধানের
বিমান হামলার পর লেবাননকে বড় হুমকি দিল ইসরায়েল
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশকে ‘ওয়ার্ক ভিসা’ দিবে না সৌদি
জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না: ডা. শফিকুর রহমান
‘হানাহানির রাজনীতি ফিরে আসুক তা চাই না’
ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির মাঝে প্রশান্তির খোঁজে মানুষ
অস্ত্রোপচার সম্পন্ন, এখন কেমন আছেন ক্যানসারে আক্রান্ত দীপিকা
লড়াই করে আদায় করতে হয়েছিল পশু কোরবানির অধিকার
চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনার দিনক্ষণ জানালেন ট্রাম্প
মালয়েশিয়ায় ঈদুল আজহার নামাজ আদায়
মেট্রোরেল চলবে না আজ
নিষিদ্ধ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট যেভাবে ফিরে পাবেন
গবেষণা একাডেমিতে ৮ পদে চাকরির সুযোগ
ফিরোজায় ঈদ উদযাপন করবেন বেগম খালেদা জিয়া, দেশবাসীকে জানালেন শুভেচ্ছা
ঈদে কোরবানির মাংস খাওয়ার স্বাস্থ্যসম্মত ৪ গাইডলাইন

এআই প্রযুক্তি: বিশ্বজুড়ে বাড়াচ্ছে সাইবার হামলার আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

ধীরে ধীরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠছে। আর তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি মানুষের মতো সক্ষমতা অর্জন করেছে কি না, তা জানতে চান অনেকেই।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্রুত উন্নতির ফলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সাইবার হামলা শুধু বাড়বেই না, বরং তা হবে আরও অনেক বেশি জটিল, কার্যকর এবং শনাক্ত করা কঠিন—এমনটাই সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি)।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে এআই-চালিত সাইবার অপরাধ বিশ্বজুড়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দেবে। যে সব প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করছে না, তারা হতে পারে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

জেনারেটিভ এআই-এর মতো প্রযুক্তির ফলে এখন বাস্তবসম্মত ফিশিং ই-মেইল তৈরি, ম্যালওয়্যার কোড লেখা, এমন কি ব্যক্তি বিশেষকে লক্ষ্য করে কনটেন্ট তৈরি করাও খুব সহজ হয়ে গেছে। এতে সাইবার অপরাধে জড়াতে এখন আর বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন নেই।

এনসিএসসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, বিদ্যুৎ, পানি, স্বাস্থ্যসেবাসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো এখন বেশি ঝুঁকির মুখে। আর এ ঝুঁকি কেবল যুক্তরাজ্যেই নয়—বিশ্বজুড়ে বাড়ছে।

সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা মাইমকাস্ট-এর এক বৈশ্বিক জরিপে দেখা গেছে, ৫৫ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠান এখনো এআই-নির্ভর হুমকির বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পরিকল্পনা নেয়নি। এতে আগামী দিনে দুই ধরনের প্রতিষ্ঠানের পার্থক্য সৃষ্টি হবে—যারা নিরাপদ এবং যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তি, বাজেট ও দক্ষ জনবল যেখানে বেশি থাকবে, তারা এআই-চালিত সাইবার ঝুঁকির বিরুদ্ধে ভালোভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে। অন্যদিকে দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলো হতে পারে বড় ক্ষতির শিকার।

এআই প্রযুক্তি শুধু হামলার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে না, বরং অনেক প্রতিষ্ঠান এটিকে হুমকি শনাক্তকরণ ও ঝুঁকি বিশ্লেষণেও ব্যবহার করছে। তবে জেনারেটিভ এআই-এর ব্যবহারে তথ্য ফাঁসের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন রয়েছে ৮১ শতাংশ প্রতিষ্ঠান।

অ্যাবসলিউট সিকিউরিটি-এর কর্মকর্তা অ্যান্ডি ওয়ার্ড জানান, “এআই প্রযুক্তি সাইবার হামলার ধরনকে দ্রুত বদলে দিচ্ছে। এখন আক্রমণ আগের চেয়ে অনেক বেশি গতিময় এবং জটিল।”

সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই এখন প্রতিদিনের ডিজিটাল জীবনের অংশ। তাই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের উচিত এখন থেকেই শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করা এবং এআই কীভাবে প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ দুইভাবেই ব্যবহৃত হতে পারে—তা বোঝা ও মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া।

এআই প্রযুক্তি

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ