মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল না থাকলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্মৃতিভ্রংশ বা অ্যালঝাইমার্স-এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কীভাবে মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখা যায়, তাই নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চলতেই থাকে। তেমনই একটি গবেষণা প্রকাশ পেয়েছে বিজ্ঞান পত্রিকা সায়েন্স-এ। গবেষকরা দেখেছেন সহজ একটি কাজই সক্রিয়ভাবে মস্তিষ্ককে রূপান্তরিত করতে পারে, যা মনোযোগ ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং মানসিক চাপ কমায়।
কাজটি হল কেবল কয়েকদিন নীরব থাকা। অদ্ভুত শোনালেও নীরবতার উপর করা একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে, তিন দিনের ইচ্ছাকৃত নীরবতা মস্তিষ্কের কার্যকরী ও শারীরিক পুনর্গঠন শুরু করে। এই পরিবর্তনগুলি কয়েক মাসের ধ্যান বা জ্ঞানীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত ফলাফলের সঙ্গে তুলনীয়।
গবেষকরা আরও দেখেছেন, যাঁরা নিয়মিত কোলাহলের মধ্যে থাকেন তাঁদের উপর এর প্রভাব আরও বেশি সুস্পষ্ট। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, যাঁরা শব্দের কারণে মানসিক চাপে ভোগেন, তাঁরা একটি নীরব অবসরের (সাইলেন্ট রিট্রিট) মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হতে পারেন।
এর নেপথ্যে রয়েছে মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশ। যে অংশে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন দেখা গিয়েছে সেটি হল হিপোক্যাম্পাস, যা মস্তিষ্কের স্মৃতির জন্য দায়ী একটি অংশ। একটানা তিন দিন নীরবতার পর, অংশগ্রহণকারীদের হিপোক্যাম্পাসে নতুন কোষের বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। আর তাতেই হিপোক্যাম্পাসের স্বাস্থ্য ভাল হয়। আগে ধারণা করা হত, দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা ছাড়া এটি সম্ভব নয়। নতুন গবেষণা সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করল বলেই মত গবেষকদের।
সূত্র: আজকাল