পাকিস্তানে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২১ আগস্ট শুরু হওয়া টেস্ট খেলতে সোমবার দেশ ছাড়বেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। বিদেশি কোচিং স্টাফরা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারছেন না। যে কারণে সরাসরি তারা পাকিস্তানে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
পাকিস্তান সিরিজে ভালো খেলার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ দলের সামনে। রাওয়ালপিন্ডির ফ্লাট উইকেটে ভালো ব্যাটিং ও বোলিং করা চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ লিপু, ‘চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভালো খেলা। টেস্টে আপনি এক বিভাগে ভালো করে জিততে পারবেন না। আমরা ব্যাটিং–বোলিং সব বিভাগে ভারসাম্য রেখে দল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ক্যাচিংও গুরুত্বপূর্ণ। স্লিপ ক্যাচিংয়ে আমরা ইমপ্রুভ করলেও আরও ভালো করার সুযোগ আছে।’
একপক্ষ খারাপ ব্যাটিং করলে ফলাফল হতে পারে বলে মনে করেন তিনি, ‘রাওয়াল পিন্ডির উইকেট বেশ ফ্লাট। ফলাফল বের করে আনা কঠিন। যেকোন একটা পক্ষ খারাপ ব্যাটিং করলে ফলাফল আসতে পারে। ব্যাটিংয়ে কিছুটা ঘাটতি ছিল, সেগুলো কাটিয়ে ওঠার সুযোগ আছে। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ যথেষ্ঠ শক্তিশালী, ভুলে গেলে চলবে না।’
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ওই সিরিজে প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল। তবে পাকিস্তান সিরিজের জন্য আগে ভাগে ক্যাম্প শুরু করেছিলেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু রাজনৈতিক উত্তাপের কারণে শেষ পর্যন্ত অনুশীলনে কিছু ঘাটতি থেকেই গেছে।
প্রধান নির্বাচক লিপুও তেমনই মনে করেন, ‘শ্রীলঙ্কা সিরিজে আমাদের প্রস্তুতির কিছুটা ঘাটতি ছিল। এবার ভালো প্রস্তুতি নেওযার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ সেশনটা করতে পারিনি। সপ্তাহখানেক অনুশীলন করার মতো পরিস্থিতি ছিল না। ন্যাশনাল টিমের বিদেশি কোচরা আসতে পারেননি। যথাযথ প্রস্তুতিতে এবারও কিছুটা ঘাটতি রয়ে গেছে। যা লাঘব করতে পাকিস্তানে গিয়ে প্রস্তুতির ব্যবস্থা।’