ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানিসহ রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্টিং (এসটিআর) বেড়েছে ৫৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের ১৫ মে পর্যন্ত সাড়ে ১০ মাসে ২৭ হাজার ১৩০টি। ২০২৩-২৪ অর্থবছর যেখানে বিএফআইইউতে এসটিআর হয়েছিল ১৭ হাজার ৩৪৫টি। মূলত জুলাই বিপ্লবের পর এ ধরনের রিপোটিং ব্যাপক বেড়েছে।
২০২২-২৩ এসটিআর ছিল ১৪ হাজার ১০৬টি। এর মানে গত অর্থবছর রিপোটিংয়ে বেড়েছিল ২৩ শতাংশ।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউর কর্মকর্তারা।
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, বিএফআইইউ প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম, উপ-প্রধান কাওছার মতিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত অর্থবছর বিএফআইইউ ১১৪টি গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থায় পাঠিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নিয়ন্ত্রণক সংস্থা ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার সাথে ১ হাজার ২২০টিতথ্য বিনিময় করেছে। আগের অর্থবছরের তুলনায় যা ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি। মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধ জোরদারের কারণে ব্যাসেল এএমএল ইনডেক্স-২০২৪ র্যাংকিংয়ে ১৩ ধাপ এগিয়ে ৪৬ নম্বর থেকে ৫৯ নম্বরে উন্নীত হয়েছে।