বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সাজানো-পাতানো রায়ে জামায়াতের ১১ জন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে ন্যায়বিচারকে গণহত্যা করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২৭ মে) একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ টি এম আজহারুল ইসলাম আপিলে খালাস পাওয়ার পর আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনের মুক্তিযোদ্ধা হলে এ সংবাদ সম্মেলের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এটিএম আজহারের মুক্তির রায়ে আজ প্রমাণিত সত্যকে চেপে রাখা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন জামায়াত আমির।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে জামায়াত নেতৃত্বের গণহত্যা করেছিলো স্বৈরাচার সরকার। সাজানো-পাতানো রায়ে জামায়াতের ১১ জন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে ন্যায়বিচারকে গণহত্যা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, জাতির এই সঙ্কট মুহূর্তে যদি তারা বেঁচে থাকতেন তাহলে তাদের প্রজ্ঞা দিয়ে জাতিকে পথ দেখাতে পারতেন।
জামায়াত আমির বলেন, মহান আল্লাহর রহমতে দেশের মানুষ সমর্থন দিলে প্রতিশোধের রাজনীতির, বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ঘটানো হবে।
এর আগে সকালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায়ে তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই রায় দেন।
তার আগে গত ৮ মে শুনানি শেষে রায়ের জন্য আদালত ২৭ মে দিন রেখেছিলেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষে রয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম। এর আগে গত ৬ মে প্রথম দিনের মতো শুনানি হয়।
সূত্র: যুগান্তর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডা. শফিকুর রহমান