পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ‘পাকিস্তানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে ভারত মিথ্যা বলেছে। আজ তাদের আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্বের দাবি ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।’ বুধবার (৪ জুন) চীনে তার সাম্প্রতিক সফরের সময় যেসব গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক আলোচনা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
ইসহাক দার বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পর ভারতের আঞ্চলিক আধিপত্যের দাবি সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের কূটনৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করতে না পারার ব্যর্থতায় ভারতে আজ ‘শোকের ছায়া’।
ওই সফরে তিনি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং আফগান কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও অংশ নেন।
এই সফরের মাধ্যমে পাহালগাম ইস্যুতে চীনের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি, পাকিস্তানের অবস্থানের প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ছিল কার্যকর ও পরিমিত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বে কূটনৈতিক উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এই প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।’
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয় ২২ এপ্রিল, যখন ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগাম এলাকায় এক হামলায় ২৬ জন নিহত হয়।
এই হামলার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে, যদিও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে এবং একটি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানায়।
এর পর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার একাধিক শত্রুতামূলক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে ছিল ৬৫ বছরের পুরনো সিন্ধু জলচুক্তি (ইন্ডাস ওয়াটার ট্রিটি) স্থগিত করা, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল, ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করা, নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশন বন্ধ করার নির্দেশ এবং উভয় দেশের কূটনৈতিক কর্মী কমিয়ে আনা।
পাকিস্তানও দ্রুত পাল্টা পদক্ষেপ নেয়—বাণিজ্য বন্ধ, আকাশপথ বন্ধসহ বেশ কয়েকটি সামরিক প্রতিক্রিয়াও এর অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সূত্র: নিউজ টোয়েন্টিফোর