ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে প্রকৃতির টানে দেশের পর্যটন স্পটগুলোতে বাড়ছে মানুষের ভিড়। কক্সবাজার, সিলেট আর রাঙামাটির হোটেল-রিসোর্টগুলো এরমধ্যেই প্রায় পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে পর্যটন এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে গেছেন লাখো মানুষ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির পাশাপাশি কেউ আবার প্রকৃতির মাঝে খুঁজে নেবেন প্রশান্তি।
সম্ভাব্য ভ্রমণপিপাসুদের আগমন বিবেচনায় এরই মধ্যে কক্সবাজার, সিলেট ও রাঙামাটির মতো জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় প্রস্তুতি নিয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, পর্যটক বরণে প্রস্তুত পর্যটন স্পটগুলো।
কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের ৮০ শতাংশ কক্ষই বুকড। হিমছড়ি, ইনানী, মেরিন ড্রাইভও প্রস্তুত পর্যটকদের জন্য। ব্যবসায়ীরা বলেন, পর্যটকদের বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এখন শুধু পর্যটকদের আসার অপেক্ষা। বেশিরভাগ রুমই অগ্রিম বুক হয়ে গেছে।
সিলেটে এবার ৫ লাখ পর্যটক সমাগমের প্রত্যাশা হোটেল-রিসোর্ট মালিকদের। রাঙামাটির হ্রদ পাড়ের রিসোর্টগুলোতে এরই মধ্যে শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত স্থানীয়রাও।
তিন জেলার প্রতিটি গন্তব্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কক্সবাজারে সমুদ্রস্নানে সতর্ক রয়েছে লাইফগার্ড দল। সিলেট ও রাঙামাটিতেও পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় তিন স্তরের নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। বিশেষ টহল ও মোবাইল টিম থাকবে। সাদা পোশাকেও থাকবে পুলিশ।
ঈদের ছুটিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর প্রস্তুতি এবারের উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ করবে-এমনটাই প্রত্যাশা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের।