সর্বশেষ
কোরবানির মাংস খেলেই যেতে হবে জেলে!
জেমসের ‘জেল থেকে বলছি’ গানের মতো ঈদে কারাগার মাতালেন নোবেল
হামজাদের ঠেকাতে বিশাল বহর নিয়ে এলো সিঙ্গাপুর
কুবিতে শতাধিক খাসি কোরবানি ছাত্রশিবিরের
ভূমি আপিল বোর্ডে ৬ পদে চাকরির সুযোগ
‘আমিও এখানেই থাকব’, কবরের উপর শুয়ে সন্তানহারা বাবার আর্তনাদ
যে কারণে মেসিকে পছন্দ জানালেন রোনালদো
এবার আল্লু অর্জুনের নায়িকা হচ্ছেন দীপিকা
আলোচিত স্টারলিংক নিয়ে হোয়াইট হাউসের ভয়ংকর তথ্য ফাঁস
এ যেন অন্য তৃণা, চোখ ধাঁধালেন ৭টি বোল্ড লুকে
ঈদে মেকআপের জন্য ত্বক প্রস্তুত করার চারটি ধাপ
শাকিব-সাবিলা, রাজ-ফারিণ নাকি সাদিয়া-সৌম্য, কোন জুটি বেশি নজর কাড়ছে এবার ঈদে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় সেনাপ্রধানের
বিমান হামলার পর লেবাননকে বড় হুমকি দিল ইসরায়েল
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশকে ‘ওয়ার্ক ভিসা’ দিবে না সৌদি

ঈদে মেকআপের জন্য ত্বক প্রস্তুত করার চারটি ধাপ

অনলাইন ডেস্ক

ঈদের দিনকে সুন্দর করে তুলতে পোশাক ও জুয়েলারির সঙ্গে চাই মানানসই মেকআপ। গরমে মেকআপ করার ঝক্কি অনেক। তবে তা অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে সঠিকভাবে মাত্র চারটি ধাপে ত্বক প্রস্তুত করে।

এবার ঈদ পড়েছে গরমের সময়। গরমে মেকআপ করার ঝক্কি অনেক। তাই বলে মেকআপ বাদ যাবে এমন ভাবার উপায় নেই। এখন মিনিমাল নো-মেকআপ লুকের যুগ। গরমের জন্য যা একদম আদর্শ। এই মেকআপের সবচেয়ে ভালো ফল পেতে হলে ত্বক প্রস্তুত করার কোনো জুড়ি নেই এবং সেটি মাত্র চারটি ধাপেই করা যাবে।

ক্লিনজার

ত্বকের যত্নের শুরুটা হবে ক্লিনজারে। ত্বক খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য ‘ডাবল ক্লিনজিং’ পদ্ধতি অনুসরণ করলেই চলবে। এ জন্য সবার আগে ত্বক তেল বা মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এতে মুখের মেকআপ, আটকে থাকা বাইরের ধুলাময়লা, অতিরিক্ত সিবাম, এসপিএফ—সবকিছু পরিষ্কার করা হয়। ক্লিনজারের উপাদান হিসেবে বেশি ব্যবহার করা হয় জোজোবা অয়েল, ম্যাকাডেমিয়া অয়েল, গ্রেপসিড অয়েল, অলিভ অয়েল, কোকোনাট অয়েলের মতো প্রাকৃতিক তেল। হাতের কাছে এগুলো না থাকলে রান্নাঘরে থাকা শর্ষের তেলও ব্যবহার করা যাবে। অয়েল ক্লিনজিং করার পর মুখ ওয়েট টিস্যু বা নরম তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।

ডাবল ক্লিনজিংয়ের দ্বিতীয় ধাপ হলো ত্বক ওয়াটার-বেজড ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করা। যেসব ময়লা অয়েল ক্লিনজার দিয়ে যায় না, সেগুলো পরিষ্কার করতে ওয়াটার-বেজড ক্লিনজার ব্যবহার করা হয়। এটি ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। এ ক্ষেত্রে নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে।

এক্সফোলিয়েটর

ত্বক যদি এক সপ্তাহের মধ্যে একবারও এক্সফোলিয়েট করা না হয়, তাহলে অবশ্যই এক্সফোলিয়েট করে নিতে হবে। কারণ, ত্বক এক্সফোলিয়েট করা থাকলে যেকোনো ধরনের মেকআপ খুব ভালোভাবে বসে যাবে। এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমে ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ ও রোমকূপ পরিষ্কার করা হয়। ত্বকের অনুজ্জ্বল, নিষ্প্রাণ ও বিবর্ণ ভাব দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার। একটা কথা মনে রাখতে হবে, ত্বকে মৃত কোষ থাকলে ত্বকের যত্নের পণ্যগুলো যেমন এর গভীরে প্রবেশ করে ভালোভাবে কাজ করতে পারে না, তেমন মেকআপ করলেও তা ত্বকের ওপর ভেসে থাকে।

এক্সফোলিয়েটর দুই ধরনের হয়ে থাকে। ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল। কখনো যদি কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করে না থাকেন, তাহলে ঈদের আগের রাতে নতুন করে শুরু করার দরকার নেই। ফিজিক্যাল এক্সফোলিয়েটর দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে। হাতের কাছে থাকা কিছু উপাদান যেমন চিনি, লবণ, কফি ইত্যাদির সঙ্গে নারকেল বা জলপাই তেল মিশিয়ে সহজেই এক্সফোলিয়েটর তৈরি করা যায়। তবে এর আগে এগুলো ব্লেন্ডারে মিহি গুঁড়া করে নিতে হবে।

এর চেয়েও সহজ ও নিরাপদ ফিজিক্যাল এক্সফোলিয়েটর হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন নরম তোয়ালে বা সুতি কাপড়। এ ক্ষেত্রে সবার আগে ত্বকে পানি লাগিয়ে রাখতে হবে পাঁচ মিনিটের জন্য। আর নরম তোয়ালে বা সুতি কাপড় কুসুম গরম পানিতে কয়েক মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর তোয়ালে বা কাপড়ের পানি ঝরিয়ে খুব আলতোভাবে মুখের ত্বক ঘষে ঘষে মৃত কোষগুলো পরিষ্কার করতে হবে। যখন সব মৃত কোষ উঠে যাবে, তখন পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। যখন কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর আবিষ্কৃত হয়নি, তখন কোরিয়ান নারীরা এভাবেই ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করতেন। তাই চোখ বন্ধ করে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।

শিট মাস্ক

চাঁদরাতে ত্বকের যত্নে মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রাকৃতিক উপাদানের মাস্ক এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কারণ, হঠাৎ কোনো প্রাকৃতিক মাস্ক ব্যবহারে ত্বকে খুব খারাপ প্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই ঝুঁকি এড়াতে শিট মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এসব মাস্কে অনেক অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট বা সক্রিয় উপাদান থাকে, যা ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। বাজারে এখন অনেক ব্র্যান্ডের শিট মাস্ক পাওয়া যায়। এ ধরনের মাস্ক ত্বক অনুযায়ী বাছাই করা উচিত। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য রেটিনল, চারকোল বা ক্লে-সমৃদ্ধ শিট মাস্ক ব্যবহার করলে ভালো। শুষ্ক ত্বকের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী হলো হাইড্রেটিং শিট মাস্ক। এমন মাস্কে উপাদান হিসেবে থাকে অ্যালোভেরা, ক্যামোমাইল, সেরামাইডস, পেপটাইডস ও গ্লিসারিন। যাঁদের ত্বক রোদে পোড়া বা বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করেছে, তাঁরাও এই শিট মাস্কগুলো ব্যবহার করতে পারেন। কোনো কারণে রাতে মাস্ক লাগাতে না পারলে সকালে মেকআপের আগে ব্যবহার করা যাবে। এতে মেকআপ খুব সহজে সুন্দরভাবে ত্বকে বসে যাবে। মাস্ক ব্যবহারের আগে কয়েক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিলে ত্বকে সতেজ অনুভূতি পাওয়া যাবে।

ময়েশ্চারাইজার

একদম শেষ ধাপে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের ধরন যেমনই হোক না কেন, কোনোভাবে ময়েশ্চারাইজার এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। রাতে ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে এটি ব্যবহার করতে হবে। চাইলে ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে পারেন। ভিটামিন ই ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে। মেকআপ ব্যবহারের আগে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ