মাত্র ১৬ বছর বয়সেই বিশ্ব ফুটবলে সাড়া ফেলে দিয়েছেন লামিনে ইয়ামাল। বয়সে হয়তো রোনালদোর ছেলের চেয়ে সামান্য বড়, কিন্তু ফুটবল মঞ্চে এবার মুখোমুখি হবেন স্বয়ং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর ইয়ামাল!
রোববার রাতে মিউনিখে নেশন্স লিগের ফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। তার আগে আজকের সংবাদ সম্মেলনে রোনালদোকে ঘিরে ছিল একটাই আলোচনা—মেসি আর ইয়ামাল। সময়ের শ্রেষ্ঠ তারকা ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনার মুখোমুখি হওয়া কি নিছক কাকতাল, নাকি নতুন কোনো অধ্যায়ের সূচনা?
মেসির প্রসঙ্গ উঠতেই স্মৃতিমগ্ন হয়ে পড়েন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বলেন, ‘মেসির প্রতি আমার একটা আলাদা ভালো লাগা আছে। আমরা দীর্ঘ সময় ধরে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম—যা আগেও অনেকবার সাক্ষাৎকারে বলেছি। পনেরো বছরের বেশি সময় ধরে আমরা দু’জন দর্শকদের বিনোদন দিয়েছি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হলে আমাদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। মেসির প্রতি আমার এই ভালো লাগার কারণ, সে সবসময় আমাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখিয়েছে।’
মেসির কথা বলতে বলতেই রোনালদো জানান, এবারের ক্লাব বিশ্বকাপ খেলার জন্য তাকে আর্জেন্টিনার একটি দল প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তাদেরকে ‘না’ বলে দিয়েছেন। ‘আমার এখন চল্লিশ চলছে, এখনও আমাকে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলার প্রস্তাব দেয়। যদিও তাদের আমি হ্যাঁ বলতে পারিনি। আসলে আমি কখনো আর্জেন্টিনায় যায়নি, কিন্তু আমি সেখানে যেতে চাই।’
রোনালদোর এ কথায় কিসের ইঙ্গিত রয়েছে তা নিয়ে মিডিয়ায় চর্চা চলছে। ক্লাব বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার দুই দল বোকা জুনিয়র্স আর রিভার প্লেট খেলবে। রোনালদো কি তাহলে সৌদি ছেড়ে পরের মৌসুমে আর্জেন্টিনা যাবেন? নাকি শ্বশুর বাড়ি আর্জেন্টিনায় বেড়াতে যাবেন? স্পষ্ট করেননি রোনালদো।
তবে ইয়ামালকে নিয়ে একটা স্পষ্ট কথা বলে দিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের একটা অনুরোধ করেন রোনালদো। ‘তাকে প্রত্যাশার এতো চাপ দেবেন না। তাকে বেড়ে উঠতে দিন। তার মধ্যে প্রতিভার কমতি নেই। তাকে বেড়ে উঠতে দিন। বার্সার হয়ে সে দারুণ খেলছে। সে তার প্রতিভাগুলোকে কাজে লাগাতে পারছে। এই সময় তার ওপর বাড়তি চাপ দেবেন না।’ রোনালদো অনুরোধ করলেও সেটা রাখছে কে, এরই মধ্যে এই ম্যাচটিকে ঘিরে রোনালদো আর ইয়ামালকে নিয়ে প্রবল প্রচার চলছে ইউরোপিয়ান মিডিয়াগুলোতে।