সর্বশেষ
নিজের কাজ ফেলে ট্রলি ঠেলে বেড়ান কর্মচারীরা, ব্যবস্থা নেবে দুদক
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে ঐকমত্যের সম্ভাবনা
যেসব প্রশ্ন কখনোই করবেন না চ্যাটজিপিটিকে
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে ক্ষমা চাইতে হবে: ইশরাক
নোবেলের বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন প্রথম স্ত্রী সালসাবিল
ইরান সংকটে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিলেন পুতিন: ট্রাম্প
এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করা হয়েছে: ইশরাক হোসেন
নেত্রকোনায় সাঁতার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা
‘আমি গর্বিত ইসরায়েল আমার কথা রেখেছে, এটা বড় একটি ব্যাপার’
সাকিবকে টপকে আরও ওপরে মুমিনুল
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু বৃহস্পতিবার, অংশ নিচ্ছে ১২,৫১,০০০ শিক্ষার্থী
৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার পদ বাড়ানোর দাবি
১২৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মিষ্টি জান্নাতের
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পদ ২৪
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধিদল

৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার পদ বাড়ানোর দাবি

অনলাইন ডেস্ক

৪৪তম বিসিএস প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর। সেই থেকে প্রায় তিন বছর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রকাশিত হয়নি চূড়ান্ত ফলাফল। এই দীর্ঘ সময়েও ফল না আসায় প্রার্থীদের মুখে এখন আর কোনো আশার আলো নেই, বরং গভীর হতাশা আর ক্ষোভ জমেছে তাদের মাঝে। সরকার নানা সংস্কার ও পরিবর্তনের কথা বললেও ৪৪তম বিসিএসের প্রার্থীরা এখনো রয়ে গেছেন অপেক্ষা আর অনিশ্চয়তার ফাঁদে।

প্রাথমিকভাবে এই বিসিএসে ১,৭১০টি ক্যাডার পদে নিয়োগের কথা বলা হলেও, প্রতি বিসিএসে চূড়ান্ত ফলাফলের আগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে অতিরিক্ত পদ যোগ করা হয়। যেমন, ৩৭তম বিসিএসে ১১২টি, ৩৮তমে ৪০০টি, ৪০তমে ৪৬৩টি, ৪১তমে ৫২০টি এবং ৪৩তম বিসিএসে ৪০৪টি পদ বাড়ানো হয়েছিল। তাই ৪৪তম বিসিএসেও ন্যায্যতা বজায় রাখতে এবং বৈষম্য দূর করতে অতিরিক্ত ক্যাডার পদ দ্রুত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ফল প্রত্যাশীরা।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা তাদের এই দাবির কথা জানান। তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যমতে, ৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ৩৮২টি অতিরিক্ত পদ বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকলেও সেই পদগুলো শেষ পর্যন্ত ৪৭তম বিসিএসে স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে আমরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।’

তারা জানান, ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা দুই দফায় সম্পন্ন হয়েছে। একটি আগের সরকারের সময়ে, অন্যটি নতুন সরকারের অধীনে। তখন অনেকেই আশা করেছিলেন, নতুন সরকার একটি ন্যায়ের বাংলাদেশ গড়বে। কিন্তু তাদের অভিজ্ঞতা বলছে, ‘আমরা আগের থেকেও বেশি বঞ্চিত হচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা বলেন, ‘২০২৪ সালের পহেলা সেপ্টেম্বরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষি ক্যাডারের ১১০টি শূন্য পদের সঙ্গে ৫০টি অতিরিক্ত পদ যুক্ত করে ১৬০টি পদে নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। কিন্তু সেটি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে বাতিল করা হয়। এরপর থেকে কোনো চিঠি না যাওয়ায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১১৫টি পদ আইনি জটিলতায় আটকে আছে। একই অবস্থা অন্যান্য মন্ত্রণালয়েও দেখা যাচ্ছে।’

তারা আরও বলেন, ‘সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) প্রথমবারের মতো ২০২৫ সালে তিনটি মুক্ত আলোচনার আয়োজন করেছিল। সেখানে অংশ নিয়ে অনেকেই নতুন বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পেয়ে আশাবাদী হয়েছিলেন। তখন আমরা ভেবেছিলাম, আর কেউ বৈষম্যের শিকার হবেন না। কিন্তু এখনকার অভিজ্ঞতা সেই আশার সঙ্গে মেলে না।’

সবশেষে ৪৪তম বিসিএসের ফল প্রত্যাশী প্রার্থীরা সরকারের কাছে দাবি জানান, ‘চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে অতিরিক্ত ক্যাডার পদ দ্রুত বাড়িয়ে যেন ফল প্রকাশ করা হয়।’

বিসিএস

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ