সর্বশেষ
বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন শুরু
ওটিটিতে মুক্তি পেল তাসনিয়া ফারিণের প্রথম সিনেমা
ভিসা ইস্যু নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে: রিজভী
কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ
হিন্দু নেতাকে অপহরণের পর হত্যা, যা বলল ভারত
আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাতের
এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়: নাহিদ ইসলাম
দেরি করে পৌঁছানোয় স্বপ্নভঙ্গ ওদের
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
নির্বাচনের জন্য এখনই আন্দোলনের প্রয়োজন দেখছে না বিএনপি
বিলাসবহুল অফিস ও বন্দর কমিটি নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ
শাহজাদপুরে যুবদল কর্মীকে হত্যার অভিযোগ
ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া প্রমাণ করে ভারত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়: দুদু
‘শুভ কাজে সবার পাশে’ স্লোগানে বসুন্ধরা শুভসংঘের মনপুরা উপজেলা কমিটি গঠিত

শিক্ষার নতুন উপায় খুজে পাচ্ছে আফগান নারীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালেবান সরকার মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা নিষিদ্ধ করে। যার ফলে বন্ধ হয়ে যায় অন্তত ১৪ লাখ আফগান মেয়ের পড়াশোনা।

বিশ্বের একমাত্র দেশ হিসেবে আফগানিস্তান, মেয়ে ও নারী শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।

ইউনেসকোর তথ্যানুযায়ী, এখন আফগানিস্তানে সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ লাখ মেয়ে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এই সংখ্যাটি দেশটির স্কুলের যাওয়ার বয়সী মেয়েশিশুদের প্রায় ৮০ শতাংশ।

খাওয়ার (ছদ্মনাম) একজন আফগান নারী। বছর তিন আগে তালেবানদের বিজয়ের আগে তিনি মেডিকেল স্কুল যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তার সেই পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর ১২ বছরের বেশি বয়সের মেয়েদের শিক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা আরপ করে।

কার্ডিওলজিস্ট হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে খাওয়ারের কেনা বই পড়ে আছে অবহেলায়। ডাক্তার হওয়ার যে স্বপ্ন তিনি বুনেছিলেন তা আর পূরন হয়নি, বরং তিনি বন্দি হয়েছেন চার দেয়ালের ভিতরে। ভোর চারটায় শুরু হওয়া দিনে শুধুই আছে বাড়ির কাজের লম্বা তালিকা।

সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খাওয়ার বলেন, “আমার স্বাভাবিক দিনগুলো আগের চেয়ে অনেক আলাদা। আমি আশা করি একদিন সবকিছু বদলে যাবে। ”

কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় খাওয়ার অন্য কাজে মনোনিবেশ করেন।

ইউনিভার্সিটি অফ দ্য পিপল নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি অলাভজনক অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গোপনে পড়াশোনা করছেন খাওয়ার। এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের বিশেষত খাওয়ারের মত নারীদের বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ দেয়।

অনলাইন স্কুলগুলির পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাগুলি কিশোরী মেয়েদের এবং মহিলাদের শিক্ষিত করার জন্য র‍্যাম্প করছে, যারা একটি শাসনের দ্বারা তাদের ঘরে সীমাবদ্ধ রয়েছে যা তাদের অধীনস্ত নিম্নশ্রেণী হিসাবে দেখে।

শুধুমাত্র অনলাইনে নয় আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় চলছে গোপনে শিক্ষার কাজ। কখনো ফোন, কখনো টেলিফোন আবার কখনো টেলিভশনের মাধ্যমে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে আফগান নারীদের ভিতর।

যারা শিক্ষাবিদ তাদের জন্য জ্ঞ্যান ছড়িয়ে দেওয়া বেশি জরুরি। তারা মনে করেন একটি অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে খুব সহজেই যেকোনো পথে পরিচালনা করা যায়।

এদিকে শিক্ষা নিষিদ্ধ হওয়ায় দেশটির পুরো একটি প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। শুধু প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে মেয়েদের। সেখানেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে।

গত তিন বছরে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি কোনো দেশ। নারীদের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় জাতিসংঘ বিষয়টিকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ বলে উল্লেখ করেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে এখন ১১ লাখের মতো মেয়ে ও ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায় বলে বিবৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। সূত্র: সিএনএন

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ