গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ান সংগঠনটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। পোস্টে দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণার পাশাপাশি প্ল্যাটফরমের বিরুদ্ধে এবং সহযোদ্ধাদের নিয়েও নানা অভিযোগ করেন তিনি।
উমামা তোলা সেসব অভিযোগ ফেলে দেওয়ার মতো না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শনিবার (২৮ জুন) রাতে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন টক শোতে যোগ দিয়ে উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উমামা ফাতেমা যেসব অভিযোগ তুলেছেন, তার মধ্যে সব অভিযোগ ফেলে দেওয়ার মতো না। আবার সব গ্রহণ করার মতোও না।’
গণ-অভ্যুত্থানে যারা নারীদের সংগঠিত করেছেন, তাদের মধ্যে উমামা ফাতেমা অন্যতম বলে জানিয়েছেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘এই গুরুত্বটা ছিল বলেই উমামা আমাদের অভ্যুত্থান-পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফরমের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে মনে হয়েছে, প্রত্যেক মানুষের প্রত্যেকটা জিনিস দেখার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা সত্যি যে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সব বিষয় যেভাবে হওয়ার প্রয়োজন ছিল, আমাদের প্রত্যাশা যেমনটা ছিল, সেভাবে সব হয়নি। এই সমগ্র সিসুউয়েশনের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন করে যাচ্ছি, প্রথমবারের মতো যাচ্ছি। এ কারণে হয়তো অনেকে নিজের অজান্তে এমন অনেক কিছু করছে, যেটা অপরপ্রান্ত থেকে মনে হচ্ছে অপ্রত্যাশিত। আবার কারো কাছে মনে হচ্ছে এটাই ঠিক।’
তবে তিনি বিষয়গুলো নিয়ে উমামা ফাতেমার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন সারজিস। তিনি বলেন, ‘আমারও জানা উচিত তার কোন জায়গায় সীমাবদ্ধতা মনে হয়েছে। এই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা কিভাবে কাজ করতে পারি।’
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে উমামা লিখেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আমার আনুষ্ঠানিক যাত্রা এখানেই শেষ হলো।’
ওই পোস্টে উমামা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাউন্সিল ও কার্যক্রম নিয়ে নানা অভিযোগ জানান।