সীমাবদ্ধতা থাকলেও সমাজকে সঙ্গে নিয়েই চলবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এমন মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। মঙ্গলবার (১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৫তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন ।
এর আগে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ‘দেশের যেকোনো ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে এই প্রতিষ্ঠান নেতৃত্ব দিয়েছে। ৫২, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘পড়াশোনা ও গবেষণাকে আমরা রাজনৈতিক মতাদর্শের দলাদলির বাহিরে রাখতে চাই। একই সঙ্গে রাজনীতি যেন বিশ্ববিদ্যালয়মুখী হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য রাজনীতি থাকবে কিন্তু বহিস্থ বিভিন্ন হস্তক্ষেপে পরিচালিত না হয়।’
দিবসটি উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে রয়েছে উৎসবের আমেজ। সকালে স্মৃতি চিরন্তন থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে টিএসসির পায়রা চত্বরে জড়ো হন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। ‘বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
টিএসসি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ছাত্রদের অনুভূতিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।