গরমকাল মানেই ঘাম, তবে অনেকের ক্ষেত্রে ঘাম যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। প্রচণ্ড তাপমাত্রা ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘাম হওয়া স্বাভাবিক হলেও, কেউ কেউ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ঘামে—যা কখনো কখনো অস্বস্তিকর পরিস্থিতিরও জন্ম দেয়। শরীরে কোনো বড় রোগ না থাকলেও স্নায়ুগ্রন্থির অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে এমন ঘাম হতে পারে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, মেনোপজ বা মানসিক চাপের মতো কারণেও অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সময়মতো সচেতন হওয়া জরুরি।
ভ্যাপসা গরমে ত্বকের স্বস্তির জন্য পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিনথেটিক কাপড় ত্বকের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য নয়, ঘাম বেশি শুষে নেয়; যা আপনাকে শুধু অস্বস্তিতেই ফেলে না, বগলকে আরও ঘর্মাক্ত করে। তাই এ সময় সুতির কাপড় পরুন এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত। তাহলে আপনি কম ঘর্মাক্ত হবেন।
গরমে প্রচুর পানি পান করা দরকার। এটি শরীরকে শীতল রাখে এবং এভাবে শরীর থেকে ঘাম বের হওয়া রোধ করে। সব সময় সঙ্গে পানির বোতল রাখুন এবং প্রতিদিন অন্তত তিন-চার লিটার পানি পান করুন।
অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর করতে মেথি ভেজানো পানি খেতে পারেন। এক চা চামচ মেথি এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে, পরদিন সকালে উঠে সেই পানি ছেঁকে খালি পেটে পান করুন। এতে অতিরিক্ত ঘামসহ আরও অনেক সমস্যা দূর হবে।
চন্দন ত্বকের যত্নে অনেকভাবে উপকারি। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা কমাতেও কাজ করে চন্দন। চন্দন বেটে নিয়ে শরীরের যে স্থানে ঘাম বেশি হয়, সেখানে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টার মতো। এতে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি পেতে চন্দন, আমলকির গুঁড়া এবং গোলাপ পানির মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এটি ভালোভাবে গায়ে লাগিয়ে রাখুন, মিনিট বিশেক পর ধুয়ে ফেলুন।
১. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েকটি কিশমিশ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানিটুকু খেয়ে নিন।
২. খুব বেশি গরম খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৩. তিতা এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার সম্ভব হলে একটু বেশি খাবেন। এতে ঘাম কম হবে।
৪. অতিরিক্ত ঝাল ও টক জাতীয় খাবার খাওয়া কম খাবেন। এর বদলে অল্প তেল-মসলায় তৈরি খাবার খান।