সর্বশেষ
হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে তরুণীকে হত্যা: হাসিনাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দুর্নীতির সমস্যা চিরতরে দূর করতে হবে: নাহিদ ইসলাম
গুলশানে প্রস্তুত হচ্ছে বাড়ি, ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান?
ব্যাংক পর্ষদে ৫০ ভাগ পরিচালক হবেন স্বতন্ত্র: গভর্নর
প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের জন্য সুখবর
অবশ্যই একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে: আখতার হোসেন
সীমান্তে বিএসএফের আগ্রাসী আচরণ আর মেনে নেব না: নাহিদ ইসলাম
মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে এসে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি
ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ
সংস্কার কমিশনের সংস্কার আগে জরুরি: হাবিবুল্লাহ মিয়াজী
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন জরুরি: জামায়াতের নায়েবে আমির
‘আলোচনা করে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে’
পিএসএল নিয়ে নতুন তথ্য, বাড়ছে দল-ভেন্যু
তারা স্পষ্ট করে বলছে না কোন পদ্ধতিতে পিআর চায়: নজরুল ইসলাম
ইনসাফ কায়েমে ইসলামী আদর্শের বিকল্প নেই: মুজিবুর রহমান

পিএসসির সুপারিশ ছাড়াই ৪১ কর্মকর্তা নিয়োগ

অনলাইন ডেস্ক

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৩০তম ও ৩১তম বিসিএসে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ ছাড়াই অবৈধভাবে ৪১ জনকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে দলটি ২৯তম বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে ২১ ভুয়া ক্যাডার নিয়োগ দেয়, যাদের বিষয়টি এখন তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

জানা যায়, অবৈধ প্রক্রিয়া অবলম্বন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৪১ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পিএসসিতে তারা নন-ক্যাডার তালিকায় থাকলেও পরে আলাদা গেজেট প্রকাশ করে বেআইনিভাবে ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৮ জন নারীকে ৩০তম বিসিএসের অধীনে নিয়োগ এবং বাকি ২৩ জনকে ৩১তম বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই দুই বিসিএসে ক্যাডার সার্ভিসের জন্য সুপারিশপ্রাপ্তদের মূল তালিকা প্রকাশের কয়েক মাস পর সেই সময়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার স্বাক্ষরিত আলাদা গেজেট জারি করা হয়। মেধাভিত্তিক প্রক্রিয়া এড়িয়ে এই ৪১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই সময়ের ঊর্ধ্বতন সরকারি কিছু কর্মকর্তা ও পিএসসির কিছু সদস্য এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন। এই অনিয়মের মাধ্যমে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩০তম ও ৩১তম বিসিএসের মাধ্যমে যারা অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়েছিলেন তাদের অনেককেই পরে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়। সেসব গুরুত্বপূর্ণ পদে কেউ কেউ এখনো আছেন। তাদের আওয়ামী লীগের অনুগত বলে ধরা হয়। ২০১২ সালের ১৭ মে ৩০তম বিসিএসের মূল গেজেট প্রকাশিত হয়। সেই গেজেটে ক্যাডার পদের জন্য সুপারিশকৃত ২ হাজার ২৬২ জনের নাম ছিল। এর পাঁচ মাস পর একই বছরের ২৩ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৮ জন নারীকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য একটি পৃথক গেজেট জারি করে। যদিও তাদের নাম ইতোপূর্বে নন-ক্যাডার তালিকায় ছিল।

ওই ১৮ নারীর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে চারজন- নাসরিন আক্তার, রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী, সুবর্ণা রানী সাহা এবং পারভীন সুলতানা; পুলিশ ক্যাডারে দুইজন- মোছা. সুলতানা রাজিয়া ও শামিমা নাসরিন; নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারে দুইজন- পাপিয়া মনোয়ারা ও শর্মীলা নাজনীন; আনসার ক্যাডারে দুইজন- হোসনে আরা হাসি ও মৌসুমী আক্তার; পরিবার পরিকল্পনায় তিনজন- ইন্দ্রানী দেবনাথ, সাহেদা হোসেন ও কাজী মমতাজ বেগম; তথ্য ক্যাডারে চারজন- শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি, উম্মে ফারহানা হোসেন শিমু, শাহিদা মঞ্জুরী ও জিনাত আরজু মুক্তা এবং জুবাইদা খানম (শুল্ক ও আবগারি) নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।

এছাড়া ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮১২ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে ৩১তম বিসিএসের মূল গেজেট প্রকাশিত হয়। এর সাড়ে ছয় মাস পর ২০১৩ সালের ১২ জুন পৃথক একটি গেজেট প্রকাশ করে ২৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রথমবার পিএসসি তাদের নাম নন-ক্যাডার তালিকায় রাখে। এই ২৩ জনের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে রয়েছেন ১১ জন। তারা হলেন- এইচএম সালাউদ্দিন মনজু, এসএম সাদিক তানভীর, সাঈকা সাহাদাত, একেএম হেদায়েতুল ইসলাম, সোহেল রানা, মোছা. আকতারুন নেছা, সুপ্রিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, শিরিন আক্তার, মোছা. রওনক জাহান এবং মাহফুজা সুলতানা। পুলিশে নিয়োগ পাওয়া ছয়জন হলেন- খায়রুল হাসান, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন, আমরীন খায়রুল, মো. শরিফুল আলম, মাহবুবুল হক সজীব এবং সুদীপ দাস। ইকোনমিক ক্যাডারে তিনজন- মো. সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার ও মো. ফজলুর রহমান; তথ্য, কর ও পরিকল্পনায় একজন করে যথাক্রমে মাসুম বিল্লাহ, মো. রকিবুল হাফিজ ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

এদিকে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২৯তম বিসিএসে ২১ জন নন-ক্যাডারকে অবৈধভাবে ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এসব অনিয়ম তদন্তে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।

এ বিষয়ে পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম মতিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, পিএসসির সুপারিশ ছাড়াই আলাদা কাউকে ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ নেই। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মনসুর হোসেন বলেন, পিএসসি চূড়ান্ত সুপারিশ প্রকাশ করার পর নন-ক্যাডার তালিকা থেকে কাউকে ক্যাডার তালিকায় স্থানান্তর করার কোনো বিধান নেই।

পিএসসি | বিসিএস

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ