দ্বিতীয়বারের মতো লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো টেইলর সুইফটের আলোচিত সংগীত সফর ইরাস ট্যুরের কনসার্ট। এ আসরে নতুন বডিস্যুটে দেখা গেছে তাঁকে। এই পোশাক তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার ক্রিস্টালের পুঁতি।
লন্ডন নিঃসন্দেহে টেইলর সুইফটের প্রিয় শহর। তা না হলে বারবার কেন তিনি এখানেই ফিরে আসবেন? প্রায় এক বছর ধরে চলছে টেইলর সুইফটের ঐতিহাসিক ইরাস ট্যুর। চলতি বছরের জুন মাসে পপ রাজকন্যা তাঁর গানের ক্যারাভান নিয়ে হাজির হয়েছিলেন লন্ডনে। দুই মাস পর আবারও এ শহরে কনসার্টের আয়োজন করা হলো। সেখানে টেইলর সুইফটের গানের পাশাপাশি সুইফটিদের উচ্ছ্বাস বাড়িয়েছে তাঁর নতুন আউটফিট।
ইরাস ট্যুর কনসার্টের বিভিন্ন অ্যাক্ট বা অংশ টেইলর সাজিয়েছেন তাঁর প্রতিটি অ্যালবামের সঙ্গে মিল রেখে। ওই অ্যাক্টে গান গাওয়ার সময় তিনি পোশাকও পরেন অ্যালবামের থিমে।
ইউরোপ ট্যুর থেকে তাঁর কনসার্ট আউটফিটে ছোটখাটো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। লন্ডনে ফেরার জন্যও নতুন একটি আউটফিট স্যুটকেস বন্দী করে এনেছিলেন টেইলর।
ফ্যাশনিস্তা টেইলরের অন্যতম প্রিয় কনসার্ট আউটফিট হলো বডিস্যুট। ইরাস ট্যুরে তাঁকে অনেক ডিজাইনের বডিস্যুট পরতে দেখা যায়। এবার লন্ডনেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এখানে নতুন একটি বডিস্যুটে সবার নজর আটকে গিয়েছে। কনসার্টের ‘মিডনাইটস’ অংশে যখন টেইলর এই ড্রেস পরে মঞ্চে আসেন, তখন সুইফটিদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখা মতো।
নতুন বডিস্যুটটি টেইলরের জন্য বানিয়েছেন স্বনামধন্য লেবানিজ ডিজাইনার জুহাইর মুরাদ। তিনি এই পপ তারকা ছাড়াও হলিউডের অনেক সেলিব্রেটিদের প্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার। জুহাইর মুরাদ মানেই ম্যাক্সিমাল ডিজাইনের ঝলমলে পোশাক। ক্রিস্টাল, বিডস, ফ্রিঞ্জ, সিকুইন যেন তাঁর ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’। টেইলরের নতুন বডিস্যুটটাও জুহাইর ইচ্ছামতো এমবেলিশমেন্ট দিয়ে সাজিয়েছেন। এটি তৈরিতে তিনি ব্যবহার করেছেন অন্তত সাড়ে ১০ হাজার ক্রিস্টালের পুঁতি। আর সময় লেগেছে ১২০ ঘণ্টা।
আগেই বলা হয়েছে, টেইলর বডিস্যুটটি তাঁর কনসার্টের ‘মিডনাইটস’ অংশে পরেছিলেন। তাই জুহাইর মধ্যরাত থিমে পোশাকটি ডিজাইন করেন। ক্রিস্টালের পুঁতি ছাড়া এখানে এমবেলিশমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে পুঁতির ফ্রিঞ্জ, রুপালি পেইলেটসের (বড় সিকুইন বা চুমকি) অর্ধচন্দ্র ও তারা।
মিডনাইট ব্লু বডিস্যুটের সঙ্গে আরও ছিল ম্যাচিং ফ্রিঞ্জ জ্যাকেট। যখন এই পোশাক পরে টেলর নাচছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল, তিনি চাঁদ ও তারা ভরা মধ্য–আকাশকে মঞ্চে নামিয়ে এনেছেন।