খেজুর ক্যালরি ও একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনা কমায়। একইসঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকরিতা বৃদ্ধি করে।
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। এতে থাকা এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। খেজুরে ভিটামিন–এ আছে, যা চোখ ও কর্নিয়ার জন্য খুব ভালো। খেজুরে পর্যাপ্ত ম্যাগনেশিয়ামও রয়েছে। ম্যাগনেশিয়াম ফোলাভাব ও শরীরের বিভিন্ন ব্যথায় আরাম দেয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে শুকনো ফল খেজুর। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, মস্তিষ্ক ও হার্টের উন্নতিতে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে এ ফল। যাদের অ্যালঝেইমার্স আছে তারাও খেজুর খেতে পারেন। ক্যান্সার বা ক্রনিক রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে খেজুর। এ জন্য বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ হওয়ায় খেজুর ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও উপকারী।
পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এ ফল অধিক মিষ্টি ও ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ায় অনেকেই খেজুর খাওয়ার সঠিক সময় ঠিক করতে পারেন না। খেজুর কি কাঁচা খাওয়া উচিত, না সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া উচিত– তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন অনেকে। আবার খালি পেটে খাবেন না রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেজুর খাবেন, তাও অনেকে বুঝতে পারেন না।