কুমিল্লায় গোমতীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বুড়িচং উপজেলার ৫ ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম। তবে রাতে বাঁধ ভাঙার কারণে অধিকাংশ লোকজন ঘর বাড়িতে আটকা পড়েছে। জেলা সদরের সঙ্গে উপজেলা সদরের প্রধান সড়কের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে সমকালকে এসব তথ্য জানান বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাহিদা আক্তার।
তিনি বলেন, বাঁধ রাতে ভেঙেছে, তাই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুড়িচং উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন– ষোলনল, পীরযাত্রাপুর, বুড়িচং সদর, বাকশিমুল এবং রাজাপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ ইউনিয়নের গ্রামগুলো পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।
ইউএনও সাহিদা আক্তার বলেন, ভোরে ভাঙন এলাকা দিকে রওনা দিয়ে রাস্তা থেকে ফিরে আসতে হয়েছে। প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন সংগঠন, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে অতি বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া নামক স্থান দিয়ে বাঁধটি ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে। এতে ভাঙন এলাকার পাশের এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জমান সমকালকে বলেন, সকাল ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৬০ ফুটের মতো বাঁধ ভেঙে যায়, তবে পানি বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, পানি এখনও বিপৎসীমার উপরে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় ছিল ১৩৪ সেন্টিমিটার উপরে, আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় ছিল বিপৎসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার উপরে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালে গোমতীর পানি বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। কিন্তু গত দুই দিনে পানি বাড়ার হিসাব অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় ছিল ১৩৪ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপরে। যা বিগত ২৭ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে গোমতী।