সর্বশেষ
নুরকে দেখতে গিয়ে কাঁদলেন সাদিক কায়েম
সব কাজ গ্রহণ না করে মানসম্পন্ন প্রজেক্ট বেছে নিচ্ছি: ফারিণ
নির্বাচন বর্জন করে পুনঃনির্বাচন চাইল প্রগতিশীলদের চার প্যানেল
ডেঙ্গুতে একদিনে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৮৬
গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশসহ চারভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ 
জামালদের নিয়ে নেপাল ছাড়লো সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমান
ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ১৪ জনের প্রাণহানি
ঘষা দিতেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং, ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী
ভাঙ্গায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ
নুরের ওপর হামলায় সরকারের টালবাহানা মেনে নেব না: আল মামুন
বন্ধুর সহায়তায় জীবনে প্রথম ভোট দিলেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আইয়ুব আলী, জানালেন অভিজ্ঞতা
নাগরিকত্ব নিয়ে মিথ্যাচার, টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন
সিদ্ধান্ত বদল, নতুন পদ্ধতিতে হবে জাকসুর ভোট গণনা
৯/১১ হামলার বিষয়ে আগেই জানতো ইসরায়েলি গোয়েন্দারা

নির্বাচন বর্জন করে পুনঃনির্বাচন চাইল প্রগতিশীলদের চার প্যানেল

অনলাইন ডেস্ক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের চারটি প্যানেল। দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তারা

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরে চারটি প্যানেলের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন শরণ এহসান। এতে সংহতি জানায় ছাত্র ইউনিয়ন (অদ্রি-অর্ক), সাংস্কৃতিক জোট ও ইন্ডেজেনাস স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন সমর্থিত ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেল, ছাত্র ইউনিয়ন (ইমন-তানজিম) ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থীদের প্যানেল ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) প্যানেল।

লিখিত বক্তব্যে ছাত্র ইউনিয়ন (অদ্রি-অর্ক), সাংস্কৃতিক জোট ও ইন্ডেজেনাস স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন সমর্থিত ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী শরণ এহসান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা, অব্যবস্থাপনা ও অথর্বতা এই সমগ্র নির্বাচনের ন্যায্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করেছি এই নির্বাচনকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ও নির্বাচন কমিশনের সর্বোচ্চ অসহযোগিতা, পক্ষপাতদুষ্টতা ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার চূড়ান্ত অনিচ্ছা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পোলিং এজেন্টদের কাজ করতে না দেওয়া, নারী হলে পুরুষ প্রার্থী প্রবেশ, ভোটার লিস্টে ছবি না থাকা, আঙুলে কালির দাগ না দেওয়া, ভোটার হওয়ার পরও তালিকায় নাম না থাকা, ভোটারের তুলনায় ব্যালট বেশি ছাপানো, লাইন জ্যামিং, বহিরাগতদের আনাগোনা ইত্যাদি অনেক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির কারণে এই নির্বাচনকে ঘিরে অনেক সন্দেহ আর প্রশ্নে উঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই দায় কেবল এবং কেবলমাত্র এই ব্যর্থ, অথর্ব এবং পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন আর প্রশাসনের। এই নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়াতেই নির্বাচনের ক্রেডিবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। একটি সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় জাকসু নির্বাচন আমাদের আজীবনের দাবি। আমরা এই অনিয়মের নির্বাচনকে বয়কট করেছি এবং দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় পুনঃনির্বাচনের দাবী জানাচ্ছি।

লিখিত বক্তব্যে পুরো দিনের নির্বাচনের অব্যবস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, প্রথমত, নির্বাচনের প্রথম দুই ঘণ্টায় কোনো পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। উল্লেখ্য যে, গতকাল রাত দুইটায় নির্বাচনের ঠিক পাঁচ ঘণ্টা আগে প্রবেশের ব্যাপার নিশ্চিত করা হয়। তবুও আজ সকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে, প্রার্থীদের স্বাক্ষর, পোলিং এজেন্টদের ছবি ইত্যাদি নতুন নতুন বাহানা এনে তাদেরকে অন্তত দুই ঘণ্টা পর প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।

দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোট নিশ্চিতকারী আঙুলের কালি সকাল থেকে দেয়া হয়নি। অভিযোগ তুললে কালি নিয়ে আসা হলেও দেখা যায় সে কালি কিছুক্ষণের মাঝে হাত থেকে উঠে যায়।

তৃতীয়ত, নির্বাচন বিধিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে (বিশেষত ছাত্রী হলে) দেখা গেছে একটি নির্দিষ্ট প্যানেলে (ছাত্রশিবির) লিফলেট হাতে হাতে সরবরাহ করছিল, এমনকি জাহানারা ইমাম হলে বুথের মাঝে দুটি প্যানেলের (জিতু+শিবির) লিফলেট সাজিয়ে রাখতে দেখা যায়। এটি সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত করে। এমনকি জাহানারা ইমাম হলে মেয়েদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া যায়।

চতুর্থত, ১০% বেশি ব্যালট পেপার ছাপিয়ে এই প্রশাসন প্রহসন করেছে, এমনকি আজ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হয় ও বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

পঞ্চমত, নজরুল হলে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সব প্রার্থীর নাম না থাকায় সেখানে প্রথমে বাকি প্রার্থীদের নাম ছাড়াই নির্বাচন চলতে থাকে এবং পরবর্তীতে হাতে লিখে প্রার্থীদের নাম ব্যালট পেপারে যোগ করা হয়।

ষষ্ঠত, নারী হলে পুরুষ প্রার্থী প্রবেশ, ভোটার লিস্টে ছবি না থাকা, আঙুলে কালির দাগ না দেওয়া, ভোটার হওয়ার পরও তালিকায় নাম না থাকা, ভোটারের তুলনায় ব্যালট বেশি ছাপানো, লাইন জ্যামিং, বহিরাগতদের আনাগোনা ইত্যাদি অনেক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা আর গাফিলতির কারণে এই নির্বাচনকে ঘিরে অনেক সন্দেহ আর প্রশ্নে উঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ