বর্তমানে ব্লাড প্রেসার, সুগার, গ্যাসট্রিক সমস্যার মতো অন্যতম শারীরিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে থাইরয়েড। তরুণ-তরুণী থেকে মধ্য বয়স্করা যেমন থাইরয়েডে আক্রান্ত হন, তেমনই কিশোর-কিশোরীসহ শিশুরাও হরমোনজনিত কারণে এ রোগের শিকার হয়।
আয়োডিনের অভাবে থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা থেকেই মূলত এ রোগে ভুগতে হয়। থাইরয়েড হরমোন কম-বেশির ভিত্তিতে চিকিৎসাশাস্ত্রে দুই ধরনের হাইরয়েড সমস্যার কথা উল্লেখ রয়েছে। একটি হলো হাইপোথাইরোডিজম, এ সমস্যায় হরমোন ক্ষরণ বেশি হয়। এতে রোগীর ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যায়, ফলে মোটা হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
আর অন্যটি হলো হাইপারথাইরোডিজম, এ সমস্যায় হরমোন ক্ষরণ কম হয় শরীরে। এতে রোগীর ওজন কমতে থাকে এবং শীর্ণকায়, রুক্ষ চেহারা হতে শুরু করে।
এছাড়াও থাইরয়েডে আক্রান্ত হলে সাধারণ কিছু উপসর্গ রয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি নাইনের প্রতিবেদন অনুসারে এগুলো হলো-
১. হাইপারথাইরয়ডিজমের সমস্যা হলে গ্লান্ড বেশি মাত্রায় সক্রিয় হয়ে পড়ে। গলা ফুলে নিচের দিকে ঝুলে যেতে পারে।
২. থাইরয়েড গ্লান্ডের অতিরিক্ত কার্যকারিতার ফলে প্রচণ্ড গরম লাগে, হাত পা ঘেমে যায়।
৩. পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়। খাওয়ার রুচি স্বাভাবিক বা বেড়ে যাওয়ার পরও ওজন কমে যেতে পারে।
৪. ঘন ঘন পায়খানা হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫. হাইপোথায়রয়ডিজমের সমস্যা হলে অবসাদগ্রস্ত লাগে।
৬. তাছাড়া ত্বক খসখসে হয়ে যায়, ক্ষুধা মন্দা শুরু হয়, চুল পড়ে যায়।
৭. ওজনের সমস্যা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, শীত শীত ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, রক্তচাপ বাড়া, মাসিকের সমস্যা, হাত কাঁপা, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
৮. আর একটি বড় সমস্যা হলো, বন্ধ্যত্ব সমস্যা হতে পারে। গর্ভধারণকালে গর্ভপাত হতে পারে। কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়ডিজমে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ হয় না।
৯. দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগতে দেখা যায় থাইরয়েড রোগীদের। যা অস্বস্তিভাব বাড়ায়, শরীরে অবসাদ আনে।
১০. ক্লান্তিবোধ, ঝিমুনি, দুর্বলতা, পেশিতে ব্যথা, চোখের সমস্যাও দেখা দেয় শরীরে থাইরয়েড সমস্যা দেখা দিলে।
এসব উপসর্গ ছাড়াও প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় আপনি থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত কিনা। থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা









