মাঠের পরিচর্যার প্রেক্ষাপটে সাধারণত নিভৃতে কাজ করেন কিউরেটররা—কিন্তু বিসিবির শ্রীলঙ্কান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা সেই ঘরানার বাইরে ছিলেন। মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে বিতর্ক, ম্যাচফলকে প্রভাবিত করা নিয়ে প্রশ্ন-বিশ্লেষণ—এসবের কেন্দ্রবিন্দুতে প্রায়শই নামটি এসেছে গামিনির। এবার সেই গামিনি আর বড়দিন কাটিয়ে ফিরছেন না—বিসিবির সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্ক সমাপ্তির পথে বলে বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যম জানাচ্ছে।
বিসিবির এক সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের জুলাইয়ে গামিনির সঙ্গে আবারও এক বছরের নতুন চুক্তি করা হয়েছিল। কিন্তু চুক্তির নয় মাস বাকি থাকা সত্ত্বেও তিনি দেশে ফিরে যাচ্ছেন। শর্ত অনুযায়ী তাকে দুই মাসের বেতন দেওয়া হবে এবং এ বিষয়ে দুই–এক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
গামিনি ২০১০ সালে বিসিবিতে যোগ দিয়ে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কিউরেটরের দায়িত্ব নেন। দীর্ঘ সময় তিনি মিরপুর উইকেট নিয়ে সরাসরি কাজ করেছেন—কয়েকবার মাঠের ধরন, বল পড়া ও প্লেয়ারদের অভিজ্ঞতা নিয়ে জোর আলোচনার বিষয়ও হয়েছেন। তবে গত আগস্টে বিসিবি টার্ফ ম্যানেজমেন্ট উইংয়ের প্রধান হিসেবে টনি হেমিংকে নিয়োগ দিলে গামিনির পজিশনে পরিবর্তন আসে। শেরে বাংলা থেকে সরিয়ে তাকে রাজশাহী স্টেডিয়াম দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হলেও, বোর্ড মনে করছে সেখানে তার কাজ প্রত্যাশিত মানের হয়নি।
কিউরেটরের কাজ সাধারণত পেছনে থেকে মাঠ গড়া—টেন্ডার, আচরণ, পানি-নিয়ন্ত্রণ, ঘাসের ধরন, প্লেয়িং কন্ডিশন—এসবের সমন্বয় করে ম্যাচ উপযোগী উইকেট তৈরি করা। বিশ্বজুড়ে কিউরেটররা থাকে চোখে কম ভলিউমে, তবু গামিনির নাম গত দশক জুড়ে বাংলাদেশের মাঠ নিয়েও বিতর্ক-আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে।









