সরকার টেলিযোগাযোগ খাতের পুরোনো আইন সংস্কার করে নতুন ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সম্প্রতি আইনটির খসড়া প্রকাশ করেছে এবং অংশীজনের মতামত চেয়ে অনলাইনে উন্মুক্ত করেছে।
খসড়া অনুযায়ী, ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা—যেমন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ—সবই সরকারের অনুমোদনের আওতায় আসবে। এসব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধন নিতে হবে এবং প্রয়োজনে নিরাপত্তা সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
আইন অনুযায়ী, এই খাতে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন গঠন করা হবে, যা লাইসেন্স প্রদান, নীতি নির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণ করবে। কমিশন হবে পাঁচ সদস্যের, যার একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, অনুমতিহীনভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনা বা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকার প্রয়োজনে কোনো প্ল্যাটফর্ম স্থগিত বা বন্ধ করতে পারবে।
১৮৮৫ সালের টেলিগ্রাফ আইন ও ১৯৩৩ সালের ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি আইন বাতিল করে এই নতুন অধ্যাদেশ কার্যকর হবে।
বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক ও যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।









