সর্বশেষ
বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন শুরু
ওটিটিতে মুক্তি পেল তাসনিয়া ফারিণের প্রথম সিনেমা
ভিসা ইস্যু নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে: রিজভী
কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ
হিন্দু নেতাকে অপহরণের পর হত্যা, যা বলল ভারত
আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাতের
এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়: নাহিদ ইসলাম
দেরি করে পৌঁছানোয় স্বপ্নভঙ্গ ওদের
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
নির্বাচনের জন্য এখনই আন্দোলনের প্রয়োজন দেখছে না বিএনপি
বিলাসবহুল অফিস ও বন্দর কমিটি নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ
শাহজাদপুরে যুবদল কর্মীকে হত্যার অভিযোগ
ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া প্রমাণ করে ভারত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়: দুদু
‘শুভ কাজে সবার পাশে’ স্লোগানে বসুন্ধরা শুভসংঘের মনপুরা উপজেলা কমিটি গঠিত

মিশরে খুলে দেওয়া হলো সাঈদা জয়নব (রা.) মসজিদ ও মাজার

অনলাইন ডেস্ক

মিশরের আদিম রাজধানী ফুসতাত ও বর্তমানে ইসলামিক কায়রোর ব্যস্ততম একটি এলাকা ইল-সাইদা জায়নব।‌ বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কন্যা ফাতেমা তুজ-জোহরা (রা.) ও হযরত আলী-ইবনে-আবু তালিরের (রা.) কন্যা সাইদা জয়নাব বিনতে আলীর (রা.)র নামানুসারেই এলাকাটির নাম। এখানেই রয়েছে মিশর ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহত্তম একটি মসজিদ। যা, হযরত হাসান ও হোসেনের (রা.) বোন সাঈদা জয়নাব (রা.) কবরের উপর নির্মিত।

ইতিহাসবিদরা মনে করেন, সাঈদা জয়নাবকে (রা.) কারবালার যুদ্ধের কয়েক মাস পর মিশরে নির্বাসিত করা হয়েছিল।

কারবালা থেকে নির্বাসিত হয়ে সাঈদা জয়নাব (রা.) মিশরে পৌঁছার পর তৎকালীন মিশরের গভর্নরের নেতৃত্বে মিশরীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাকে স্বাগত জানান। এসময় হযরত সাঈদা জয়নব (রা.) মিশরবাসীর জন্য দোয়া করে বলেন,

“يا اهل مصر اعنتمونا أعانكم الله”
السيدة زينب رضى الله عنها

‘হে মিশরবাসী, আপনারা আমাকে সমর্থন করেছেন, আল্লাহ আপনাদের সমর্থন করুন। আপনারা আমাকে আশ্রয় দিয়েছেন, আল্লাহ আপনাদের আশ্রয় দিন। আপনারা আমাকে সাহায্য করেছেন, আল্লাহ আপনাদের সাহায্য করুন, সমস্ত অসুবিধা থেকে মুক্তি এবং সমস্ত চিন্তা থেকে মুক্তির পথ তৈরি করে দিন।’

হযরত সাঈদা জয়নব (রা.) মিশরে নয় মাস স্থায়ী ভাবে মিশরে বসবাস করার পর ইহজগত ত্যাগ করলে তাকে এই স্থানে সমাহিত করা হয়।

সাঈদা জয়নাবের কবরের উপর বিশাল মসজিদটি কখন নির্মিত হয়েছিল তার কোন সঠিক নথি না থাকলেও ১৫৪৭ সালে মসজিদটি অটোম্যান শাসনামলে মোহাম্মদ আলী পাশা প্রথম সংস্কার করেন।

১৭৬৮ সালে আবদুল রহমান কতৃক‌ পূর্ণ সংস্কারের পর ১৯৪০ সালে পুরাতন মসজিদটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে বর্তমান মসজিদ নির্মাণ করা হয়। তখন থেকেই, মসজিদটি ইসলামী ইতিহাসের নিদর্শন হিসাবে নিবন্ধিত করা হয় । মসজিদটির কেবলা প্রাচীরের সমান্তরালে সাতটি করিডোর নিয়ে গঠিত একটি বর্গাকার থালা ও একটি গম্বুজ দ্বারা আবৃত। কেবলা প্রাচীরের বিপরীত দিকে রয়েছে সাইয়্যিদা জয়নাবের (রঃ)র সমাধি।

করোনা মহামারীতে মসজিদটি বন্ধ থাকার পর আবারো ব্যাপক সংস্কারে করে মসজিদ ও মাজারটি খুলে দিয়েছেন বর্তমান মিশর সরকার। গত সপ্তাহে মসজিদটি আসরে নামাজ আদায় করতে গিয়ে দেখা যায়, বিপুল পরিমাণ মুসুল্লি নামাজের পর মাজার জিয়ারত করছেন।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ