‘আমি রেকর্ডের পেছনে ছুটি না, রেকর্ডই আমার পেছনে ছোটে’—গত মে মাসে সৌদি লিগে একটি রেকর্ড ভেঙে এ কথা বলেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু একজন মানুষ কত আর রেকর্ড ভাঙতে পারেন! দুই দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে ৪০ ছুঁই ছুঁই বয়সী একজন ফুটবলার অবশ্য না চাইলেও ভেঙে দিতে পারেন অনেক রেকর্ড।
আর সেই খেলোয়াড়টি যদি হন রোনালদোর মতো কেউ, তবে রেকর্ড বই তো স্বাভাবিকভাবেই তছনছ হয়ে যাওয়ার কথা। হয়েছেও অবশ্য তা–ই। ফুটবল ইতিহাসে রোনালদোর দখলে থাকা রেকর্ডগুলো দিয়েই চাইলে বড়সড় একটি বই লিখে ফেলা যাবে।
ফুটবলের অসংখ্য রেকর্ডের মালিক রোনালদো অবশ্য আর কোনো ব্যক্তিগত রেকর্ডের দিকে ফিরে তাকাতে চান না। এমনকি তিনি বিশ্বসেরা ফুটবলার কি না, সেটা নিয়েও আর ভাবেন না।
অথচ ২০১৮ সালে ‘ফ্রান্স ফুটবল’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেছিলেন, ‘আমিই ফুটবল ইতিহাসের সেরা।’ নিজের রেকর্ড ভাঙা-গড়া নিয়ে এবং নিজেকে সেরা দাবি করে এমন কথা একাধিকবার বলেছেন রোনালদো। কিন্তু গোধূলি বেলায় এসে সব দাবি যেন তুলে নিতে চাইলেন ‘সিআর সেভেন’।
নিজের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে রোনালদো বলেছেন, ‘এটা আর গুরুত্বপূর্ণ কিছু না যে আমি সেরা নাকি সেরা নই। এটাকে আমি আর পাত্তা দিই না।’ ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলের জয়ই বড় জানিয়ে রোনালদো আরও বলেছেন, ‘গোল করা একজন খেলোয়াড়ের জন্য ভালো। কিন্তু আমার কাছে দলের জয়ই বড় ব্যাপার।’
প্রতিনিয়ত রেকর্ড ভাঙতে থাকা রোনালদো এরপরই নিজের রেকর্ডবিমুখ হয়ে পড়া নিয়ে কথা বলেছেন, ‘আমি রেকর্ড ভেঙে অভ্যস্ত এবং এখন আমি আর এসবের দিকে তাকাই না। এ মুহূর্তে আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে উপভোগ করা এবং আল নাসর ও আমার সতীর্থদের ম্যাচ জিততে সাহায্য করা।’ তবে রোনালদো চান বা না চান তাঁর হাত ধরে সামনের দিনগুলোতে যে আরও কিছু রেকর্ড আসবে, তা বলাই বাহুল্য।
গতকাল এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ক্যারিয়ারের ৯০৪তম গোলটি করেছেন রোনালদো। সেই গোল রোনালদো উৎসর্গ করেছেন তাঁর প্রয়াত বাবাকে। জন্মদিনে বাবাকে গোল উৎসর্গ করা নিয়ে রোনালদো বলেছেন, ‘আল রাইয়ানের বিপক্ষে গোলটা আলাদা ও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, জীবিত থাকলে এটার জন্য আমার বাবা আনন্দিত হতেন। আজ তাঁর জন্মদিন।’
